রজত কান্তি রায়, ঢাকা
জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে চলেছি বইমেলার দিকে। এ যেন স্বপ্নের দৌড়। দৌড়াচ্ছি কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। ঘোড়া নেই, প্রচুর গাড়ি আমার পেছনে ধাওয়া করেছে! আমিও সামনের গাড়িকে। সবাই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ কাউকে ধরতে পারছে না। এমন একটা অবস্থার মধ্যেই আড্ডা জমে উঠল রায়হানের সঙ্গে।
রায়হান কার চালান অ্যাপে। এসএসসি পাস করেছেন। তারপর আর পড়েননি। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। করোনা সেটাও বন্ধ করে দিয়েছিল। বললাম, ক্লাসের বাইরে গল্প-কবিতার বই কিছু পড়েছেন কখনো? কয়েক পলক তাকিয়ে থাকলেন রাস্তার দিকে। তারপর বললেন, না। সুযোগ পাইনি। বললাম, সুযোগ পাননি নাকি ইচ্ছা হয়নি? বললেন, সুযোগই হয়নি। বললাম, বইমেলায় গিয়েছেন কখনো? বললেন, না, ভেতরে যাই নাই। বাইরে থেকে দেখছি। সুযোগ হয় নাই। ইচ্ছা ছিল। উত্তর এমন কাঠখোট্টা হলে কিছু বলার থাকে না। কিন্তু রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে।
বছর পঁচিশের রায়হানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বললেন, বই লেখা তো অনেক কঠিন কাজ! বই পড়তে হয়। তারপর বুঝতে হয়। তারপর লিখতে হয়। তার ওপর ভুল হওয়া যাবে না। মানুষ ভুলটা পড়লে খেপে যেতে পারে। বললাম, হুম। যাবেন মেলায়? রায়হান বললেন, সুযোগ নাই স্যার। তারপর জানালেন, প্রতিদিন তাঁকে কত টাকা উপার্জন করতে হয়, কেন করতে হয়। এ আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন, জীবনের এই নাগপাশ ছিঁড়ে বই পড়া কিংবা বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ তাঁর এ জীবনে হয়তো আর হবে না।
জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এগোতে থাকি। এত জ্যাম যে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে দৌড়াতে থাকি মেলার দিকে। একসময় ঢুকে যাই ভেতরে।
সারি সারি বইয়ের দোকানে রাশি রাশি বই। প্রতিটি সারিতেই আড্ডা বসেছে কবি, লেখক, গবেষকদের। আমিও ভিড়ে যাই একটায় পরিচিতদের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন বৈভব প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী পাপিয়া জেরিন। ১৭টি নতুন বই এনেছেন তাঁরা। নতুন লেখকদের বইও আছে। জানতে চাইলাম, গত দুই বছরের ক্ষতি পোষাবে তো এবার। পাপিয়া জানালেন, পোষাবে হয়তো। কারণ, প্রচুর মানুষ আসছে মেলায়। মানুষের সংখ্যা আশা জাগাচ্ছে।
পাশেই পেন্ডুলাম প্রকাশনী। রুম্মান তার্শফিকের সঙ্গে দেখা সেখানে। ভীষণ আড্ডাবাজ যুবতী। ফলে আড্ডা জমেই গেল।
রাত বাড়ে। আড্ডা বাড়ে। ফিরতে হবে বলে ছটফটানি বাড়ে। এই ব্যস্ত জীবনে বইমেলায় শুক্রবারের আড্ডার একটা আলাদা ব্যঞ্জনা আছে। মাইকের কর্কশ শব্দ ঘোষণা করে, মেলার সময় শেষ হতে আর অল্প সময় বাকি আছে। আরও ঘোষণা হতে থাকে ১১ ফেব্রুয়ারির মেলার কর্মসূচি। লোকসংস্কৃতিবিদ আশরাফ সিদ্দিকী স্মরণসভা আছে আজ, বিকেলে। মেলার ১০ম দিন পর্যন্ত মেলায় এসেছে প্রায় ১ হাজার বই। এর মধ্যে ২৯৫টি কবিতার বই, ১৭৮টি উপন্যাস, গল্পের বই ১১২টি। তথ্য শুনে একটু অবাক হলাম এই ভেবে যে মেলার ১০ দিন চলে গেলেও মাত্র ১ হাজার বই!
সে যাক। সংখ্যা দিয়ে কী আর হয়েছে কবে। আড্ডা ভাঙছে ধীরে ধীরে। আমরা মেলা ছাড়তে থাকি। আবার কাল হয়তো আসা হবে। হয়তো হবে না।
জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে চলেছি বইমেলার দিকে। এ যেন স্বপ্নের দৌড়। দৌড়াচ্ছি কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। ঘোড়া নেই, প্রচুর গাড়ি আমার পেছনে ধাওয়া করেছে! আমিও সামনের গাড়িকে। সবাই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ কাউকে ধরতে পারছে না। এমন একটা অবস্থার মধ্যেই আড্ডা জমে উঠল রায়হানের সঙ্গে।
রায়হান কার চালান অ্যাপে। এসএসসি পাস করেছেন। তারপর আর পড়েননি। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। করোনা সেটাও বন্ধ করে দিয়েছিল। বললাম, ক্লাসের বাইরে গল্প-কবিতার বই কিছু পড়েছেন কখনো? কয়েক পলক তাকিয়ে থাকলেন রাস্তার দিকে। তারপর বললেন, না। সুযোগ পাইনি। বললাম, সুযোগ পাননি নাকি ইচ্ছা হয়নি? বললেন, সুযোগই হয়নি। বললাম, বইমেলায় গিয়েছেন কখনো? বললেন, না, ভেতরে যাই নাই। বাইরে থেকে দেখছি। সুযোগ হয় নাই। ইচ্ছা ছিল। উত্তর এমন কাঠখোট্টা হলে কিছু বলার থাকে না। কিন্তু রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে।
বছর পঁচিশের রায়হানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বললেন, বই লেখা তো অনেক কঠিন কাজ! বই পড়তে হয়। তারপর বুঝতে হয়। তারপর লিখতে হয়। তার ওপর ভুল হওয়া যাবে না। মানুষ ভুলটা পড়লে খেপে যেতে পারে। বললাম, হুম। যাবেন মেলায়? রায়হান বললেন, সুযোগ নাই স্যার। তারপর জানালেন, প্রতিদিন তাঁকে কত টাকা উপার্জন করতে হয়, কেন করতে হয়। এ আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন, জীবনের এই নাগপাশ ছিঁড়ে বই পড়া কিংবা বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ তাঁর এ জীবনে হয়তো আর হবে না।
জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এগোতে থাকি। এত জ্যাম যে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে দৌড়াতে থাকি মেলার দিকে। একসময় ঢুকে যাই ভেতরে।
সারি সারি বইয়ের দোকানে রাশি রাশি বই। প্রতিটি সারিতেই আড্ডা বসেছে কবি, লেখক, গবেষকদের। আমিও ভিড়ে যাই একটায় পরিচিতদের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন বৈভব প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী পাপিয়া জেরিন। ১৭টি নতুন বই এনেছেন তাঁরা। নতুন লেখকদের বইও আছে। জানতে চাইলাম, গত দুই বছরের ক্ষতি পোষাবে তো এবার। পাপিয়া জানালেন, পোষাবে হয়তো। কারণ, প্রচুর মানুষ আসছে মেলায়। মানুষের সংখ্যা আশা জাগাচ্ছে।
পাশেই পেন্ডুলাম প্রকাশনী। রুম্মান তার্শফিকের সঙ্গে দেখা সেখানে। ভীষণ আড্ডাবাজ যুবতী। ফলে আড্ডা জমেই গেল।
রাত বাড়ে। আড্ডা বাড়ে। ফিরতে হবে বলে ছটফটানি বাড়ে। এই ব্যস্ত জীবনে বইমেলায় শুক্রবারের আড্ডার একটা আলাদা ব্যঞ্জনা আছে। মাইকের কর্কশ শব্দ ঘোষণা করে, মেলার সময় শেষ হতে আর অল্প সময় বাকি আছে। আরও ঘোষণা হতে থাকে ১১ ফেব্রুয়ারির মেলার কর্মসূচি। লোকসংস্কৃতিবিদ আশরাফ সিদ্দিকী স্মরণসভা আছে আজ, বিকেলে। মেলার ১০ম দিন পর্যন্ত মেলায় এসেছে প্রায় ১ হাজার বই। এর মধ্যে ২৯৫টি কবিতার বই, ১৭৮টি উপন্যাস, গল্পের বই ১১২টি। তথ্য শুনে একটু অবাক হলাম এই ভেবে যে মেলার ১০ দিন চলে গেলেও মাত্র ১ হাজার বই!
সে যাক। সংখ্যা দিয়ে কী আর হয়েছে কবে। আড্ডা ভাঙছে ধীরে ধীরে। আমরা মেলা ছাড়তে থাকি। আবার কাল হয়তো আসা হবে। হয়তো হবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫