সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দলগুলো অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থানে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল চায় এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে একটুও রাজি নয়। তবে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলোর কাছে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠ গরম করার চেষ্টা করলেও দেশের বাম দলগুলো শুধু তাতে সমাধান দেখছে না। তারা মনে করছে, সত্যিকারের নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার দরকার। বাম দলের নেতাদের মতে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করা না গেলে দেশ ও মানুষের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে দেশের প্রধান ছয়টি বামপন্থী দলের জোট বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের দাবিনামার মধ্যে আরও আছে কালোটাকা, পেশি শক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতামুক্ত পরিবেশে নির্বাচন; নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন; ঋণখেলাপি-ব্যাংক ডাকাত, অর্থ পাচারকারী, কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা; না ভোটের বিধান, প্রতিনিধি প্রত্যাহারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু ইত্যাদি।
জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটা সংস্কার করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। এই দাবি আদায়ে জোট ধারাবাহিক আন্দোলনে আছে। তিনি বলেন, ‘যদি দাবি আদায়ে সফল হই, তাহলে জোটগতভাবে আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।’
জোটের আরেক শরিক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘বড় দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। শুধু একটা নির্বাচন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তা-ও বাস্তবসম্মত নয়।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। ৭ দলীয় এই মোর্চার অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী জানান, বর্তমান নির্বাচনী বিধি এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। তাঁর মতে, শুধু সরকার বদল নয়, বরং পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থার বদল প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থক থাকলে একজন নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু দেশে নির্বাচনের যে ব্যবস্থা, তাতে মুষ্টিমেয় কিছু ধনী মানুষ বাদে সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু নির্দলীয় সরকার হলে, অন্যদিকে বর্তমান পুলিশ-প্রশাসন বহাল থাকলে খুব বেশি পার্থক্য হবে না। দেশের সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, মৌলবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশ জাসদও।
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে দলটি যুগপৎ আন্দোলন করার ঘোষণা দেয় মে মাসে।
বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সব রাজনৈতিক দলের উচিত একটা স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থার বিষয়ে সম্মত হওয়া। সরকারেরও উচিত এ বিষয়ে সব দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা। এমন কিছু তাদের করা উচিত নয়, যাতে সংকট আরও গভীর হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার নমনীয় না হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজপথে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচন করলে ভোটের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতাচ্যুত হবে। তাই তারা আরেকটা প্রহসনের নির্বাচন করে গদি দখলে রাখতে চাইছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দলগুলো অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থানে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল চায় এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে একটুও রাজি নয়। তবে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলোর কাছে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠ গরম করার চেষ্টা করলেও দেশের বাম দলগুলো শুধু তাতে সমাধান দেখছে না। তারা মনে করছে, সত্যিকারের নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার দরকার। বাম দলের নেতাদের মতে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করা না গেলে দেশ ও মানুষের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে দেশের প্রধান ছয়টি বামপন্থী দলের জোট বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের দাবিনামার মধ্যে আরও আছে কালোটাকা, পেশি শক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতামুক্ত পরিবেশে নির্বাচন; নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন; ঋণখেলাপি-ব্যাংক ডাকাত, অর্থ পাচারকারী, কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা; না ভোটের বিধান, প্রতিনিধি প্রত্যাহারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু ইত্যাদি।
জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটা সংস্কার করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। এই দাবি আদায়ে জোট ধারাবাহিক আন্দোলনে আছে। তিনি বলেন, ‘যদি দাবি আদায়ে সফল হই, তাহলে জোটগতভাবে আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।’
জোটের আরেক শরিক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘বড় দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। শুধু একটা নির্বাচন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তা-ও বাস্তবসম্মত নয়।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। ৭ দলীয় এই মোর্চার অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী জানান, বর্তমান নির্বাচনী বিধি এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। তাঁর মতে, শুধু সরকার বদল নয়, বরং পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থার বদল প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থক থাকলে একজন নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু দেশে নির্বাচনের যে ব্যবস্থা, তাতে মুষ্টিমেয় কিছু ধনী মানুষ বাদে সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু নির্দলীয় সরকার হলে, অন্যদিকে বর্তমান পুলিশ-প্রশাসন বহাল থাকলে খুব বেশি পার্থক্য হবে না। দেশের সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, মৌলবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশ জাসদও।
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে দলটি যুগপৎ আন্দোলন করার ঘোষণা দেয় মে মাসে।
বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সব রাজনৈতিক দলের উচিত একটা স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থার বিষয়ে সম্মত হওয়া। সরকারেরও উচিত এ বিষয়ে সব দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা। এমন কিছু তাদের করা উচিত নয়, যাতে সংকট আরও গভীর হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার নমনীয় না হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজপথে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচন করলে ভোটের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতাচ্যুত হবে। তাই তারা আরেকটা প্রহসনের নির্বাচন করে গদি দখলে রাখতে চাইছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫