Ajker Patrika

ব্লাস্ট রোগে মরে যাচ্ছে শিষ দিশেহারা বোরোচাষি

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ০৭
ব্লাস্ট রোগে মরে যাচ্ছে শিষ  দিশেহারা বোরোচাষি

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ব্লাস্ট রোগের কারণে গাছের গোড়া থেকে কালো হয়ে কয়েক শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের শিষ মরে যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন।

এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকার ধানখেতে এই রোগটি দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত জমি থেকে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে আশপাশের জমিগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। টুপার, নাটিভো, ব্লাস্টিন ওষুধ পরিমাণ মতো ধান খেতে ছিটালে ব্লাস্ট থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে এই অঞ্চলের যেসব কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি-১৬, ধান আবাদ করেছেন, তাঁদের ধানে ব্লাস্ট রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।

মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমার ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।

কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের, আবদুল খালেকসহ একাধিক কৃষক বলেন, বোরো আবাদ শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। কৃষকেরা ভালো ফলনের আশা করেছিল। কিন্তু ধানে পাকার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। দোকান থেকে কিনে টুপারসহ বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়ে কোনো কাজ হয়নি।

উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন তাদের ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে একাধিকবার মুঠোফোনে খবর দিলেও তিনি সরেজমিন দেখতে আসেন না।

মির্জানগর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকেরা বেগম বলেন, ব্যাপক হারে আকারে ব্লাস্ট রোগ ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকেরা পরামর্শ চাইলে, তাঁদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পৌর এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বনিক বলেন, বর্তমান আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তাঁরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। কৃষকদের নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ ছিটাতে পরামর্শ দিচ্ছেন। পৌর এলাকায় এখনো ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, কয়েকটি স্থানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের আগে থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে কৃষকদের ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম নাটিভো ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধ বর্তমানে বেশি কার্যকর বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত