Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের লাথি মারেন তিনি!

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৪৪
শিক্ষার্থীদের লাথি মারেন তিনি!

কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে যশোরের মনিরামপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক পরিমল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাঁটু ও কনুই দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিরদাঁড়ায় আঘাত করেন।

এদিকে, এ ঘটনার বিচার চেয়ে একাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কয়েকজন অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। এক অভিভাবক আবার ছেলেকে অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়েছেন।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তাহসিন মাহাদীর মা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘গত শনিবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক না থাকায় আমার ছেলে বাইরে পানি পান করতে যায়। ফিরে এসে দেখে শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তির শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস। আমার ছেলে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। একপর্যায়ে মাহাদী ভেতরে ঢুকলে শিক্ষক তাকে লাথি মারেন।’ মনোয়ারা আরও বলেন, ‘ভালো প্রতিষ্ঠান ভেবে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ছেলেকে এ স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। রোববার সকালে ছেলের মুখে এসব শুনে তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী মুখ খোলে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষক প্রণয় কিছু থেকে কিছু হলে বাচ্চাদের লাথি মারেন। কদিন আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে লাথি মারতে মারতে তিনি দরজা থেকে বেঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রদের কয়েকজনের অভিযোগ একই।’ মনোয়ারা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষক তপন বিশ্বাসকে ঘটনা জানিয়েছি। প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো বিচার করেননি। তিন দিন ধরে আমি ছেলেকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি না। তাকে চণ্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবিরের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রণয় বিশ্বাস বাচ্চাদের জুতা পায়ে লাথি মারেন। আর বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস ছেলেদের হাঁটু ও কনুই দিয়ে শিরদাঁড়ায় আঘাত করেন। এ জন্য কদিন আমার ছেলে বিদ্যালয়ে যায়নি। আমি ঘটনা প্রধান শিক্ষককে বলেছি। কোনো বিচার পাইনি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস কথা বলতে রাজি হননি। আর পরিমল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমি পৃথকভাবে শ্রেণির অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকও ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এমন আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।’

এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে প্রতিকার পেতে গেলে অভিভাবকদের বিভাগীয় উপপরিচালকের (শিক্ষা) সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত