Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের টিকা আগামী মাসে

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ২১
শিক্ষার্থীদের টিকা আগামী মাসে

দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে খুলনায় এ প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। জানা গেছে, এ অঞ্চলে টিকা দেওয়া শুরু হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। ফাইজারের তৈরি টিকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক পর্যায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে এই টিকা। পর্যায়ক্রমে ১২-১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থী টিকা পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। গত রোববার বিকেলে খুলনা জেলা ও মহানগর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে।

খুলনা জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট আবুল বাকি বলেন, খুলনার শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে খুলনা মহানগরীর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খুলনা মহানগরীর আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২৪ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। ইতিমধ্যে ছয়জন টিকা কর্মীকে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে। কেসিসি ভবনের একটি কক্ষে টিকাকেন্দ্র করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রে তিনটি বুথে দেওয়া হবে টিকা।

শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরিবহনে করে টিকাকেন্দ্রে আনা হবে। টিকা দেওয়ার পর তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিয়ে আসা হবে। পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এদিকে এখন পর্যন্ত খুলনায় টিকা আসেনি। এ প্রসঙ্গে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, টিকা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ব্যবস্থা হলে টিকা আনা হবে। সে চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সেই কক্ষের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।

এদিকে গত রোববারের সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। সভায় সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকাদানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফাইজারের টিকা যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দিতে হয়, তাই এ বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সভায় টিকাগ্রহণের পাশাপাশি মাস্ক পরিধানে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

খুলনায় ১৩ নভেম্বর পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। নমুনা পরীক্ষায়ও কেউ শনাক্ত হননি। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শূন্য শতাংশ। খুলনায় এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৭৭৬ জন। সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর খুলনায় করোনার আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যায়। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে ১-২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত