Ajker Patrika

রেললাইনের ওপর বসতঘর ভবনে মাদকের আসর

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৪২
রেললাইনের ওপর বসতঘর ভবনে মাদকের আসর

ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথের শতকোটি টাকার সম্পদ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। ২৫ বছর ধরে দেখভাল না করায় রেললাইনের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বসতঘরসহ গরুর খামার। এ ছাড়া স্টেশনের ভবনগুলো দখল করে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পরিত্যক্ত ভবনে প্রতিনিয়ত বসছে মাদকের আসর।

ব্যাপক লোকসান দেখিয়ে ১৯৯৭ সালের আগস্টে ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একসময় এই পথ ছিল পণ্য পরিবহন কিংবা যাত্রীসাধারণে সরগরম। কিন্তু দীর্ঘ সময় যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এবং রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রেললাইনের ওপর তৈরি হয়েছে ঘর। বেশির ভাগ স্থানে চোরে খুলে নিয়ে গেছে স্লিপার। পাশাপাশি স্টেশনের ঘরগুলো রয়েছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। এ ছাড়া পরিত্যক্ত ভবনে চলছে মাদকের আড্ডা।

এদিকে ২০১৯ সালে লাইনটি পুনরায় স্থাপনের জন্য ভারতের হায়দরাবাদের আরভে অ্যাসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ রেল বিভাগ। সে সময় ২৭ কিলোমিটার লাইনটি কীভাবে চালুর করা যায়, সে ব্যাপারে আনুষঙ্গিক সমীক্ষা চালিয়ে জরিপ প্রতিবেদনও দেয় কোম্পানিটি। কিন্তু পরে চলমান প্রক্রিয়াটি থমকে যায়।

আনন্দপুর ইউনিয়নের কালিদহ এলাকার মোশারফ হোসেন বলেন, প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে রেললাইনের ওপর তৈরি করেছে গরুর খামার। আবার অনেক গরিব, দুস্থ লাইনের ওপর তৈরি করেছে টিনশেডের ঘর। স্লিপারগুলো চুরি করে বিক্রি করে ফেলেছে একাধিক চক্র।

রহিম উল্লাহ নামে আরেকজন বলেন, বেশির ভাগ স্থানে নেই রেললাইনের স্লিপার। অনেকে এগুলো বিক্রি করে মাদক কেনাবেচা করেছেন।

ফেনী চেম্বার সভাপতি আইনুল কবির শাশীম বলেন, রেলপথটি চালু হলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন ও যাত্রী পারাপারে যোগ হতো নতুন মাত্রা। ভাগ্য খুলে যেত ব্যবসায়ীদের। কিন্তু একাধিকবার এটি চালুর উদ্যোগ নিয়েও অদৃশ্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।

ফেনী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুর রহমান বলেন, রেললাইনটি চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, স্টেশনে তৈরি ঘরগুলো দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফেনী পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। রেল বিভাগ বিষয়টি অবগত আছে।

ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, রেলপথের ৮টি স্টেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করাসহ এটি দ্রুত চালুর ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করছেন। এটি হলে অন্তত বন্দর ঘিরে ব্যবসায়ীদের আনাগোনায় মুখর থাকবে স্থানটি। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন চাকা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত