Ajker Patrika

অনুমতি না নিয়েই ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০২
অনুমতি না নিয়েই ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার পশ্চিম আমুট্ট গ্রামে সরকারি আইন উপেক্ষা করে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। আরেক দিকে চলছে বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ‘হাত করে’ (ম্যানেজ) পলাশ নামের এক ব্যক্তি ওই পুকুর খনন করছেন।

তবে পলাশ বলেন, তিনি ১ একর ৬ শতক জমি স্থানীয় আফাজ উদ্দীনের কাছ থেকে কিনেছেন। জমির এক পাশে বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণ করছেন, অন্য পাশে পুকুর খনন করছেন। কাজের তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন পৌর মেয়রের বন্ধু রতন হোসেন এবং সোনামুখীর ফেরদৌস হোসেনকে। পুকুর খনন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দিয়েছেন, কিন্তু এখনো অনুমতি পাননি।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, আক্কেলপুর পৌরসভার মধ্যে কোনো কারখানা নির্মাণ করার জন্য কাউকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তবে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানার জন্য পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে এমন অভিযোগ কেউ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বসতিপূর্ণ এলাকার ভেতরে বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণ করা হবে। সেখানকার আবর্জনা ও পানি ফেলা হবে ওই পুকুরে। আবার পুকুরটি গভীর করে খনন করার ফলে আশপাশের ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকিতে থাকবে। ওই জমির মালিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছেন।

পুকুর খননকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘পলাশ নামের এক ব্যক্তি এখানে বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণ করবেন। এর জন্য পুকুর খনন করা হচ্ছে। আমি কাজ ও লেবারদের দেখাশোনা করছি।’

স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ হোসেন বলেন, ‘তিনি পৌরসভা থেকে সেখানে বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণের জন্য অনুমতি নিয়েছেন, পুকুর খননের জন্য নয়। ’

আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কাউকে আইন অমান্য করে পুকুর খনন করতে বলিনি। বিষয়টি দেখছি।’

ইউএনও এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সে যদি স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভেঙে কিছু বলে থাকেন, তাহলে সব ভুয়া বলেছেন।’

বগুড়া বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (গবেষণাগার) আসাদুর রহমান বলেন, আক্কেলপুর পৌরসভার মধ্যে অল্প দিনের মধ্যে কোনো কারখানা নির্মাণ কারার জন্য কাউকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।

বগুড়া বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) ও বিভাগীয় প্রধান সুফিয়া নাজিম বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেউ বিস্কুট তৈরির কারখানা নির্মাণ করতে পারবে না, এমন কোনো নিষেধ নেই। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি করে বা সাউন্ড অথবা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে কেউ যদি অভিযোগ দেয়, সে ক্ষেত্রে সেটি বন্ধ করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত