Ajker Patrika

ঘরের দোরগোড়ায় পানি পেয়ে খুশি পাহাড়বাসী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১১: ৪০
ঘরের দোরগোড়ায় পানি পেয়ে খুশি পাহাড়বাসী

পাহাড়ে পানির সংকট নিরসনে ভূপৃষ্ঠের পানিকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কোনো যন্ত্রচালিত প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘদিনের পানির সংকট নিরসন হয়েছে গ্রামবাসীর। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প বাড়ানোর দাবি স্থানীয়দের।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূপ্রাকৃতিক গঠনের কারণে অনেক স্থানে পানির স্তর পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি গ্রামগুলোতে সারা বছরই পানির সংকট দেখা যায়।

খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি, দীঘিনালা ও লক্ষ্মীছড়ির অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় গ্রাম সংলগ্ন প্রাকৃতিক ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। বিদ্যুৎ বা সৌরচালিত মোটরের পরিবর্তে গ্রাম থেকে উঁচু ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পাচ্ছেন স্থানীয়রা। এতে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি দূর হয়েছে তাঁদের। পাহাড়ের পাড়াগুলোতে ঘরের দোরগোড়ায় পানি পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।

গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা রিপন চাকমা, অনিত্য ত্রিপুরা ও রিটেন চাকমা জানান, গ্রামে আগে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সারা বছরই পানির জন্য কষ্ট করতে হতো। এখন পাহাড়ি ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে পানির কষ্ট দূর হয়েছে।

সিন্দুকছড়ি পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ মদন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। আগে পানির কষ্ট থাকলেও এখন সবাই পানি পাচ্ছেন। স্থানীয়দের দুর্ভোগ দূর হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা হলে খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বা সৌরচালিত মোটর ছাড়াই স্থায়ীভাবে পানি যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এতে পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের পানির সংকট দূর হয়েছে। পাহাড়ে অসংখ্য ঝিরি ঝরনা রয়েছে। সেগুলোতে বাঁধ দিয়ে স্থায়ীভাবে পাহাড়বাসীর পানির কষ্ট দূর করা সম্ভব। নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান আরও জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির তিন উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষের পানির কষ্ট দূর হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রকল্পের আওতা আরও বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত