সম্পাদকীয়
শিক্ষায়তনগুলোর কী হলো? উপাচার্য হয়ে দায়িত্ব পালন করার সময় তাঁদের কেউ কেউ কেন যে অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, সেটা বুঝে ওঠা কঠিন। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো উপাচার্য কখনো কখনো এমন সব কাজ করছেন, যাতে তাঁরা মেরুদণ্ডী প্রাণী কি না, সে প্রশ্ন উঠছে। তাঁরা যেন দলীয় উপাচার্য হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যা ঘটালেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর কার্যকালের শেষ দিনে তিনি দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জনকে। নিয়োগ দিয়েছেন বটে, কিন্তু কোনো নিয়োগপত্র দেননি এবং তাঁরা কী কাজ করবেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। বলা হচ্ছে, তাঁদের কর্মস্থল হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়; অর্থাৎ উদ্দেশ্যহীন এক নিয়োগের ব্যবস্থা। এ রকম নিয়োগ একজন বিদায়ী উপাচার্য দিতে পারেন না। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বলেছেন, এটা একেবারেই অবৈধ।
বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান। এটি কারও নিজস্ব সম্পত্তি নয়, সুতরাং নিয়ম মেনেই নিয়োগ দিতে হবে। নিজের খেয়ালখুশিমতো কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে উপাচার্য সে কথা জানেন না, সেটা হতে পারে না। স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, নিয়োগ বিষয়টি আসলে উপাচার্যের একার কাজ নয়। কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জনবল এবং সরকার অনুমোদিত জনবল কত, সেটা জেনে নিয়ে তারপর লোক নিয়োগ করতে হয়। সেটা করতে হয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যথাযথ সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমে। বিদায়ী উপাচার্য কি এই প্রক্রিয়াগুলো আদৌ সম্পন্ন করেছিলেন?
একটা সময় ছিল যখন উপাচার্যরা তাঁদের সততার নজির রেখেছেন। কারও কথায় চলেননি। এখনো কি একইভাবে তাঁরা তাঁদের কাজ করতে পারেন? দলীয় লেবাস ছাড়া এখন কি আর উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে?
যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন, তাঁদের মেরুদণ্ড থাকবে—এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দলবাজ না হলে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না, সেটাই বাস্তবতা। এ জন্য শুধু আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করলে হবে না, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো একই ‘পুতুল খেলা’ দেখেছি আমরা। উপাচার্য যে একটি প্রতিষ্ঠান, নানাভাবে তা বিভিন্ন সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। উপাচার্য যাঁরা হবেন, তাঁরাও বুঝে গেছেন সরকারের সঙ্গে একই সুরে গান গাইতে না পারলে কোরাস মিলবে না। আর কোরাস না মিললে, বেসুরো হলে বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলা হবে। কে আর সেই ঝুঁকি নিতে চায়?
যে নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী উপাচার্য প্রশ্নবিদ্ধ হলেন, সেটা একজন উপাচার্যের জন্য খুবই লজ্জাকর এবং নাজুক একটি বিষয়। এ রকম অনৈতিক কাজে না জড়ালে কী এমন ক্ষতি হতো? প্রশাসনিক সচলতা আর শিক্ষার ভবিষ্যৎ—দুটোই দেখার দায়িত্ব রয়েছে উপাচার্যের। তিনি যদি সেই দায়িত্বগুলো পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আদতেই এ রকম পদে আসা উচিত নয় তাঁর। আমরা মেরুদণ্ডওয়ালা উপাচার্যদের দেখতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে। তাঁবেদারির রেকর্ড যাঁদের থাকবে না।
শিক্ষায়তনগুলোর কী হলো? উপাচার্য হয়ে দায়িত্ব পালন করার সময় তাঁদের কেউ কেউ কেন যে অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, সেটা বুঝে ওঠা কঠিন। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো উপাচার্য কখনো কখনো এমন সব কাজ করছেন, যাতে তাঁরা মেরুদণ্ডী প্রাণী কি না, সে প্রশ্ন উঠছে। তাঁরা যেন দলীয় উপাচার্য হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যা ঘটালেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর কার্যকালের শেষ দিনে তিনি দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জনকে। নিয়োগ দিয়েছেন বটে, কিন্তু কোনো নিয়োগপত্র দেননি এবং তাঁরা কী কাজ করবেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। বলা হচ্ছে, তাঁদের কর্মস্থল হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়; অর্থাৎ উদ্দেশ্যহীন এক নিয়োগের ব্যবস্থা। এ রকম নিয়োগ একজন বিদায়ী উপাচার্য দিতে পারেন না। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বলেছেন, এটা একেবারেই অবৈধ।
বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান। এটি কারও নিজস্ব সম্পত্তি নয়, সুতরাং নিয়ম মেনেই নিয়োগ দিতে হবে। নিজের খেয়ালখুশিমতো কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে উপাচার্য সে কথা জানেন না, সেটা হতে পারে না। স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, নিয়োগ বিষয়টি আসলে উপাচার্যের একার কাজ নয়। কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জনবল এবং সরকার অনুমোদিত জনবল কত, সেটা জেনে নিয়ে তারপর লোক নিয়োগ করতে হয়। সেটা করতে হয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যথাযথ সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমে। বিদায়ী উপাচার্য কি এই প্রক্রিয়াগুলো আদৌ সম্পন্ন করেছিলেন?
একটা সময় ছিল যখন উপাচার্যরা তাঁদের সততার নজির রেখেছেন। কারও কথায় চলেননি। এখনো কি একইভাবে তাঁরা তাঁদের কাজ করতে পারেন? দলীয় লেবাস ছাড়া এখন কি আর উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে?
যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন, তাঁদের মেরুদণ্ড থাকবে—এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দলবাজ না হলে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না, সেটাই বাস্তবতা। এ জন্য শুধু আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করলে হবে না, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো একই ‘পুতুল খেলা’ দেখেছি আমরা। উপাচার্য যে একটি প্রতিষ্ঠান, নানাভাবে তা বিভিন্ন সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। উপাচার্য যাঁরা হবেন, তাঁরাও বুঝে গেছেন সরকারের সঙ্গে একই সুরে গান গাইতে না পারলে কোরাস মিলবে না। আর কোরাস না মিললে, বেসুরো হলে বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলা হবে। কে আর সেই ঝুঁকি নিতে চায়?
যে নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী উপাচার্য প্রশ্নবিদ্ধ হলেন, সেটা একজন উপাচার্যের জন্য খুবই লজ্জাকর এবং নাজুক একটি বিষয়। এ রকম অনৈতিক কাজে না জড়ালে কী এমন ক্ষতি হতো? প্রশাসনিক সচলতা আর শিক্ষার ভবিষ্যৎ—দুটোই দেখার দায়িত্ব রয়েছে উপাচার্যের। তিনি যদি সেই দায়িত্বগুলো পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আদতেই এ রকম পদে আসা উচিত নয় তাঁর। আমরা মেরুদণ্ডওয়ালা উপাচার্যদের দেখতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে। তাঁবেদারির রেকর্ড যাঁদের থাকবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫