Ajker Patrika

আইএমএফের ঋণের শর্ত নিয়ে সতর্কতা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৪
আইএমএফের ঋণের শর্ত নিয়ে সতর্কতা জরুরি

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সময় বাংলাদেশকে নানা শর্তে একের পর এক ঋণ প্রস্তাব করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি তাদের এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) কর্মসূচি, র‍্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (আরসিএফ) ও র‍্যাপিড ফিন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্ট (আরএফআই) সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে ঋণ প্রদানে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ঋণ গ্রহণে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে আইএমএফের ৭৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করা হয়েছে। এমনকি রোববার বাংলাদেশকে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব করা হলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আলোচনাসাপেক্ষে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত সপ্তাহের বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদল র‍্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে তারা প্রায় ৪০টি শর্তের কথা জানায় বৈঠকে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা, টিকা কেনায় ব্যয়, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোর মতো বিষয় যুক্ত করে আইএমএফ।

তারা জানায়, ঢাকায় সফররত আইএমএফের মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ রোববার জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশকে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে প্রস্তুত। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি পাওয়া যায়নি। আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার হিসাবে মোট ৩ বিলিয়ন ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিতে চায়। তবে এই ঋণ পেতে বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব এসেছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ ঋণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।

এ ব্যাপারে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের বাজেটের জন্য অর্থ দরকার রয়েছে। তাদের অনেক শর্ত এবং সংস্কার প্রস্তাব স্পর্শকাতর। সেগুলো সরকার করবে কি না, তা সরকারের বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘কিছু সংস্কার দেশের জন্য ভালো হলে তা সংস্কার করা যেতে পারে। বিদেশি ঋণ নিলে ব্যাংকসমূহের ওপর চাপ কমবে। তাই আইএমএফের মতো সংস্থাকে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।’

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। মুদ্রানীতি ও অর্থনীতি বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। প্রচুর রিজার্ভ রয়েছে। সুতরাং এ মুহূর্তে ঋণ নেওয়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত