সম্পাদকীয়
বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ টমাস ফ্রিডম্যান ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমসে যা লিখেছিলেন, তার সারমর্ম হলো—যেকোনো সংঘাত প্রতিরোধে একটি গোল্ডেন আর্কের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর এই স্বর্ণালি আর্ক হিসেবে তিনি বুঝিয়েছেন ‘এম’ অক্ষরের চেইন ব্যবসাকে। হ্যাঁ, ম্যাকডোনাল্ডসের কথাই বলা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই ‘কম খরচে’ ভালো খাবারের নিশ্চয়তা দেয় এই চেইনশপের খাবার।
মার্কিনিদের জন্য যা কম খরচ, আমাদের জন্য তা নয়। যে আয় করে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ, তার সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের আয়ের তুলনা এক কষ্টকল্পনা। তাই ম্যাকডোনাল্ডসকে আমরা কম খরচের খাবার বলে মনে করতে পারি না। আমাদের দেশে তাই ম্যাকডোনাল্ডস আসেওনি।
ফ্রিডম্যান আরেকটি কথা বলেছিলেন তাঁর প্রবন্ধে। ‘যে দেশগুলোয় ম্যাকডোনাল্ডস চেইন আছে, সেই দেশগুলোয় যুদ্ধ নেই।’ বিংশ শতাব্দীতে সেটা অনেকাংশেই ছিল সত্য।
অনেকেই তখন মনে করতেন, যেখানে ম্যাকডোনাল্ডস আছে, সেখানেই পুঁজিবাদ বিকশিত হচ্ছে এবং কৌতুক করে হলেও তাঁরা বলাবলি করতেন, যদি পৃথিবীর সব দেশে ম্যাকডোনাল্ডস ছড়িয়ে দেওয়া যেত, তাহলে পৃথিবী হতো যুদ্ধবিহীন এক গ্রহ। আহা! কী দারুণ ব্যাপারই না ঘটত তাহলে! কয়েক কোটি বার্গার আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গলাধঃকরণ করতে পারলেই মুশকিল আসান! যুদ্ধহীন পৃথিবীর গ্যারান্টি!
আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড মেনেই তৈরি হয় সুস্বাদু এই খাবার। তবে স্থানীয় স্বাদের সঙ্গে মিলিয়ে তা করে তোলা যেতে পারে আরও বেশি মুখরোচক। যেমন কিছুদিন আগে পর্যন্ত ফ্রান্সের ম্যাকডোনাল্ডসের দোকানগুলোয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করা হতো ঘোড়ার চর্বি দিয়ে!
কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডস রোধ করবে যুদ্ধ—এই হাস্যকর বক্তব্যটি একেবারেই হালে পানি পায়নি। যেমন হালে পানি পায়নি আরেক অর্থনীতিবিদ ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ১৯৯২ সালে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি বলেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সারা বিশ্বে থাকবে শুধু উদার গণতন্ত্র! একবিংশ শতাব্দীর দুটি দশক পেরিয়ে তৃতীয় দশকে প্রবেশ করে কী দেখা যাচ্ছে? উদার গণতন্ত্র কতটা বিকশিত হলো এই বিশ্বে?
রাশিয়ার মস্কোয় ম্যাকডোনাল্ডস চেইনশপ ঘাঁটি গেড়ে ছিল ১৯৯০ সালে। পুঁজিবাদ আর স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে মার্কিনি এই খাদ্য
ঢুকেছিল রাশিয়ায়। কিন্তু রাশিয়ার মতো জায়গায়ও ম্যাকডোনাল্ডস গরিবের খাদ্য হয়নি। হয়েছে বড়লোকের ক্ষুধা-নির্বাপক।
ইউক্রেনের কিয়েভে ম্যাকডোনাল্ডস ঢুকেছিল ১৯৯৭ সালে। তত দিনে ম্যাকডোনাল্ডস আর বিশ্বশান্তিবিষয়ক ফ্রিডম্যানের প্রবন্ধটি বেরিয়ে গেছে নিউইয়র্ক টাইমসে। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস, রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ফ্রিডম্যানের তত্ত্ব কোথায় গেল উড়ে!
ম্যাকডোনাল্ডসও রাশিয়া আর ইউক্রেন থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই তারা রাখবে না। তবে ইউক্রেনে আবার তারা ফিরে আসছে। সৈন্যদের মধ্যে বিতরণ করছে বিনে পয়সার খাবার।
ম্যাকডোনাল্ডসের মাধ্যমে শান্তি কিংবা সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ের মাধ্যমে উদার গণতন্ত্র ফিরে আসবে কি না, তা নিয়ে আমাদের দেশের গরিব মানুষ ভাবে না। পেটের ক্ষুধার যন্ত্রণা পৃথিবীর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরাও বোঝেন না, সে কথা তাঁরা জানেন।
বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ টমাস ফ্রিডম্যান ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমসে যা লিখেছিলেন, তার সারমর্ম হলো—যেকোনো সংঘাত প্রতিরোধে একটি গোল্ডেন আর্কের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর এই স্বর্ণালি আর্ক হিসেবে তিনি বুঝিয়েছেন ‘এম’ অক্ষরের চেইন ব্যবসাকে। হ্যাঁ, ম্যাকডোনাল্ডসের কথাই বলা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই ‘কম খরচে’ ভালো খাবারের নিশ্চয়তা দেয় এই চেইনশপের খাবার।
মার্কিনিদের জন্য যা কম খরচ, আমাদের জন্য তা নয়। যে আয় করে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ, তার সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের আয়ের তুলনা এক কষ্টকল্পনা। তাই ম্যাকডোনাল্ডসকে আমরা কম খরচের খাবার বলে মনে করতে পারি না। আমাদের দেশে তাই ম্যাকডোনাল্ডস আসেওনি।
ফ্রিডম্যান আরেকটি কথা বলেছিলেন তাঁর প্রবন্ধে। ‘যে দেশগুলোয় ম্যাকডোনাল্ডস চেইন আছে, সেই দেশগুলোয় যুদ্ধ নেই।’ বিংশ শতাব্দীতে সেটা অনেকাংশেই ছিল সত্য।
অনেকেই তখন মনে করতেন, যেখানে ম্যাকডোনাল্ডস আছে, সেখানেই পুঁজিবাদ বিকশিত হচ্ছে এবং কৌতুক করে হলেও তাঁরা বলাবলি করতেন, যদি পৃথিবীর সব দেশে ম্যাকডোনাল্ডস ছড়িয়ে দেওয়া যেত, তাহলে পৃথিবী হতো যুদ্ধবিহীন এক গ্রহ। আহা! কী দারুণ ব্যাপারই না ঘটত তাহলে! কয়েক কোটি বার্গার আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গলাধঃকরণ করতে পারলেই মুশকিল আসান! যুদ্ধহীন পৃথিবীর গ্যারান্টি!
আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড মেনেই তৈরি হয় সুস্বাদু এই খাবার। তবে স্থানীয় স্বাদের সঙ্গে মিলিয়ে তা করে তোলা যেতে পারে আরও বেশি মুখরোচক। যেমন কিছুদিন আগে পর্যন্ত ফ্রান্সের ম্যাকডোনাল্ডসের দোকানগুলোয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করা হতো ঘোড়ার চর্বি দিয়ে!
কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডস রোধ করবে যুদ্ধ—এই হাস্যকর বক্তব্যটি একেবারেই হালে পানি পায়নি। যেমন হালে পানি পায়নি আরেক অর্থনীতিবিদ ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ১৯৯২ সালে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি বলেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সারা বিশ্বে থাকবে শুধু উদার গণতন্ত্র! একবিংশ শতাব্দীর দুটি দশক পেরিয়ে তৃতীয় দশকে প্রবেশ করে কী দেখা যাচ্ছে? উদার গণতন্ত্র কতটা বিকশিত হলো এই বিশ্বে?
রাশিয়ার মস্কোয় ম্যাকডোনাল্ডস চেইনশপ ঘাঁটি গেড়ে ছিল ১৯৯০ সালে। পুঁজিবাদ আর স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে মার্কিনি এই খাদ্য
ঢুকেছিল রাশিয়ায়। কিন্তু রাশিয়ার মতো জায়গায়ও ম্যাকডোনাল্ডস গরিবের খাদ্য হয়নি। হয়েছে বড়লোকের ক্ষুধা-নির্বাপক।
ইউক্রেনের কিয়েভে ম্যাকডোনাল্ডস ঢুকেছিল ১৯৯৭ সালে। তত দিনে ম্যাকডোনাল্ডস আর বিশ্বশান্তিবিষয়ক ফ্রিডম্যানের প্রবন্ধটি বেরিয়ে গেছে নিউইয়র্ক টাইমসে। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস, রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ফ্রিডম্যানের তত্ত্ব কোথায় গেল উড়ে!
ম্যাকডোনাল্ডসও রাশিয়া আর ইউক্রেন থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই তারা রাখবে না। তবে ইউক্রেনে আবার তারা ফিরে আসছে। সৈন্যদের মধ্যে বিতরণ করছে বিনে পয়সার খাবার।
ম্যাকডোনাল্ডসের মাধ্যমে শান্তি কিংবা সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ের মাধ্যমে উদার গণতন্ত্র ফিরে আসবে কি না, তা নিয়ে আমাদের দেশের গরিব মানুষ ভাবে না। পেটের ক্ষুধার যন্ত্রণা পৃথিবীর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরাও বোঝেন না, সে কথা তাঁরা জানেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫