Ajker Patrika

অবৈধ বালু উত্তোলন, বাড়ছে ঝুঁকি

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫১
অবৈধ বালু উত্তোলন, বাড়ছে ঝুঁকি

বালুমহল ইজারা ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলন করার কোনো নিয়ম নেই। অথচ বাগেরহাটের রামপালের বিভিন্ন এলাকায় নদী-খালের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জায়গায় ছোট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে কৃষি জমিসহ এই জনপদের বিভিন্ন স্থাপনা।

জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট ড্রেজার। স্থানীয় এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় ড্রেজার মালিকেরা নদী-খালে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষ অল্প দামে পুরোনো পুকুর, ডোবা, জলাশয়, ভিটে-বাড়ি, খেত-খামার, মাঠ-ঘাটের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে বালু ভরাট করছেন।

উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের ভোলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ প্রকল্প ভরাট করছে। বালু উত্তোলন করছে এমন একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে যাতে কোনো বাধা বিপত্তি না আসে সে জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের আগেই ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করতে হয়। বালু বিক্রির একটা অংশ তাঁদের পকেটে দিতে হয়। না দিলে ঝামেলা হয়।

সরকারি নদী-খালের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিজস্ব সম্পত্তির ওপর ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ভিটে-বাড়ি, পুরোনো পুকুর, বাড়ি ঘরের চারপাশ, ডোবা ইত্যাদি ভরাট করছে। এ ছাড়া গোবিন্দপুর গ্রামেও সরকারি স্থাপনা, বাড়ি-ঘর, সরকারি রাস্তার কাছাকাছি স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে ডোবা ভরাট করা হচ্ছে।

ওই এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি নিজস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন। দাউদখালি, যৌখালি, ভোলা নদীসহ বিভিন্ন খালে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

রামপালে পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক শ্রেণির লোক সরকারি নদী-খালে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকারিভাবে এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে বালু উত্তোলন বেড়ে গেছে তাতে দিন দিন জনপদ হুমকির মুখে পড়ছে। প্রশাসন এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে সামান্য মাত্রায় ভূমিকম্প হলেই বাড়িঘর, গাছপালা ধসে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

মহিউদ্দিন শেখ আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়টি একাধিকবার তোলা হলেও প্রশাসনিকভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন বলেন, অবৈধ উপায়ে যারা নদী-খাল ও বিল দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত