Ajker Patrika

পাচার হওয়া টাকা ফেরানো নিয়ে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই

আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২২, ১২: ১৭
পাচার হওয়া টাকা ফেরানো নিয়ে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই

সুইস ব্যাংক থেকে পাচারের টাকা ফেরানো নিয়ে তুলকালাম চলছে। টাকা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কোনো তথ্য চায়নি–সুইস রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। অথচ পাচারের টাকা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট–বিএফআইইউ বিশ্বের ৭৮ দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করলেও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে এমন কিছুই করেনি। অথচ পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপই হলো ওই দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই।

এ বিষয়ে বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের কোনো সমঝোতা হয়নি। যদিও সেই দেশের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের তথ্য আদান-প্রদান হয়। যেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং সংস্থার সদস্য, তাই ওই তথ্য পেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এখন যেহেতু বিষয়টি সামনে এসেছে এবং আমাদের সঙ্গে দেশটির সমঝোতা নেই, তাই আমরা সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্যোগ নিচ্ছি।’

বিএফআইইউর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে দেখা যায়, মুদ্রা পাচার ঠেকানো এবং পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করার জন্য সংস্থাটি বিশ্বের ৭৮টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা সই করেছে।

তালিকায় এমন সব দেশের নাম রয়েছে, যেগুলো পাচারে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে আলবানা, অরোবা, কিরগিজস্তান, মোনাকো, সুরিনাম, সোলোমন আইল্যান্ড, ভানুয়াতু, গুয়াতেমালা, সেশেলস, অ্যান্ডোরা, লাটভিয়া, টোঙ্গা, প্যারাগুয়ে, কুক আইল্যান্ডসহ আরও বহু দেশের নাম; যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের খুব বেশি বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক কিংবা কার্যক্রম নেই।

মুদ্রা পাচারের স্বর্গভূমি হিসেবে পরিচিত সুইস ব্যাংকের উপস্থিতি সুইজারল্যান্ডে। প্রচলিত আছে, বাংলাদেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ওই দেশটিতেই পাচার হয়। যে দেশ মুদ্রা পাচারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ সেই দেশটিতে এখনো বিএফআইইউ কোনো সমঝোতা চুক্তিই করেনি। আর চুক্তি না থাকলে, বিএফআইইউ কীভাবে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনবে–উদ্ভূত বিতর্কের মধ্যে এখন এ প্রশ্ন উঠেছে।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে মন্তব্য করে সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আনেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, বিআইএফইউ ও এর সুইস প্রতিপক্ষের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের কিছু ব্যবস্থা আছে, তা হয়তো রাষ্ট্রদূতের জানা ছিল না। তবে এ ধরনের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে দুই দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের সুবিধা বাড়ানোর জন্য সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে আরও কিছু প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের জন্য সে দেশের এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় নতুন কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে জন্য সুইজারল্যান্ড ও তাদের ঢাকার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত