রহমান মৃধা
বর্তমান বিশ্বে যে সমস্যাগুলো মানুষের সৃষ্টি তার অবসান সমাধানের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও এর ধারাবাহিকতা নতুন সমস্যার বীজ বপন করে চলছে। যুদ্ধের অবসান এক প্রান্তে হলেও শুরু হচ্ছে অন্য প্রান্তে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো তাদের অতীতের অস্ত্রপাতি বর্তমান যুদ্ধে ব্যবহার করছে নতুন অস্ত্রপাতি তৈরি করার জন্য। একটি দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে আবার নতুন করে গড়বে বলে। পুঁজিবাদীরা এভাবেই ইনভেস্ট করে চলছে। একদিকে মানুষের জীবন বাঁচাতে ইনভেস্ট চলছে অন্যদিকে মানুষকে ধ্বংস করার জন্যও পুঁজিবাদের পুঁজিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। চমৎকার বিশ্বে আমাদের বসবাস!
শুধু বাংলাদেশের বিষয়টি যদি লক্ষ করা হয়, যেমন অনেক শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে এ বছর শুধু ট্রাফিকের কারণে। অনেক জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে শুধু অগ্নিদগ্ধে। তারপর গুম, খুন, মহামারি এসব তো লেগে আছেই।
সড়ক দুর্ঘটনার আগে সড়কের অবস্থা, গাড়ির ফিটনেস, চালকের দক্ষতা আর অগ্নিকাণ্ডের আগে সেফটি রুটিন, রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদাম—এসবের ওপর কড়া নজরদারি থাকা কি জরুরি নয়?
দেশে চাকরিরত সবাই বেতন পাচ্ছেন। শুধু জনগণ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, এটাই সত্য। এই সত্যকে কীভাবে দূর করা যায় দুর্নীতি ছাড়া, সে জন্য কাজ করা দরকার। সেই কাজগুলো করার লোক থাকা সত্ত্বেও তা করা হচ্ছে না। যারা বেতনভুক্ত তদারককারী তারা দেখছে অথচ কিছু করছে না। আমরা নানাভাবে বিষয়টি তুলে ধরছি, কিন্তু কেউ সেটার গুরুত্ব দিচ্ছে না।
পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের অবস্থা একই। তবে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে এ মুহূর্তে আমেরিকার হুমকি ছাড়া রাষ্ট্র কিছুই করতে রাজি নয়। দেশের মালিক তাহলে কি অন্য কেউ?
টোমি লিন্ডকিভিস্ত স্টকহোম ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইউনিটের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে রেডি হয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে কত সময় লাগে?’ তিনি বললেন, ‘নির্ভর করে দূরত্বের ওপর। তবে সব মিলিয়ে সর্বোপরি সাত মিনিট, এর মধ্যেই আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে থাকি।’ এরপর নানা কথা বলতে বলতে দুই মাস আগের সন্ধ্যার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরলেন টোমি।
কয়েকজন কিশোর-কিশোরী বাইরে তুষারে খেলাধুলা করতে করতে হঠাৎ বাল্টিক সাগরে পা দেয়। তারা মনে করেছে সাগর জমে গেছে। জমেছে ঠিকই, তবে পুরোপুরি শক্ত হয়নি। তুষারে ঢাকা পড়ার কারণে বোঝার উপায় নেই পানির ওপরের বরফ কতটা শক্ত। তাদের মধ্যে একটি ছেলে সাগরের পানিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইমারজেন্সি নম্বর ১১২-তে ছেলেটির বন্ধুরা ফোন করে। ঘটনাটি ঘটে টোমির অবস্থানের গণ্ডির মধ্যে। তিনি তখন তাঁর দল নিয়ে এসে ছেলেটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস দৈনন্দিন কাজের ওপর কিছুদিন আগে একটি রিপোর্ট নজরে পড়েছিল। যেমন তারা খবর দেওয়ার আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা পরে আসে। এসে ছাইভস্মের মাঝে পানি ঢালে!
দেশ এবং দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত আরও আধুনিকায়ন করা দরকার। বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপণের জন্য মই থেকে শুরু করে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি থাকা দরকার।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে যতটুকু জেনেছি, অগ্নিকাণ্ডের সময় সব জায়গায় পানি সহজে পাওয়া যায় না। তাই তারা ওয়াসাকে বিশেষ কিছু স্থানে হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপনের তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা স্থাপিত হয়নি।
উন্নত বিশ্ব যেমন, সুইডেনে অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার মিক্সড যন্ত্রটি ব্যবহার করে। এটা দিয়ে অল্প পানি ব্যয়েই অগ্নিনির্বাপণ সম্ভব। এসব যন্ত্র বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে নেই। কবে সংযোজন হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার স্টেশনগুলোতে জনবলেরও ঘাটতি আছে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্মত যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। আবার যন্ত্রপাতির ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার কারণে অনেক যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এদিকে সুইডেনের টোমি বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি দেওয়াই তাঁদের কাজ।
বর্তমান বিশ্বে যে সমস্যাগুলো মানুষের সৃষ্টি তার অবসান সমাধানের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও এর ধারাবাহিকতা নতুন সমস্যার বীজ বপন করে চলছে। যুদ্ধের অবসান এক প্রান্তে হলেও শুরু হচ্ছে অন্য প্রান্তে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো তাদের অতীতের অস্ত্রপাতি বর্তমান যুদ্ধে ব্যবহার করছে নতুন অস্ত্রপাতি তৈরি করার জন্য। একটি দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে আবার নতুন করে গড়বে বলে। পুঁজিবাদীরা এভাবেই ইনভেস্ট করে চলছে। একদিকে মানুষের জীবন বাঁচাতে ইনভেস্ট চলছে অন্যদিকে মানুষকে ধ্বংস করার জন্যও পুঁজিবাদের পুঁজিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। চমৎকার বিশ্বে আমাদের বসবাস!
শুধু বাংলাদেশের বিষয়টি যদি লক্ষ করা হয়, যেমন অনেক শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে এ বছর শুধু ট্রাফিকের কারণে। অনেক জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে শুধু অগ্নিদগ্ধে। তারপর গুম, খুন, মহামারি এসব তো লেগে আছেই।
সড়ক দুর্ঘটনার আগে সড়কের অবস্থা, গাড়ির ফিটনেস, চালকের দক্ষতা আর অগ্নিকাণ্ডের আগে সেফটি রুটিন, রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদাম—এসবের ওপর কড়া নজরদারি থাকা কি জরুরি নয়?
দেশে চাকরিরত সবাই বেতন পাচ্ছেন। শুধু জনগণ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, এটাই সত্য। এই সত্যকে কীভাবে দূর করা যায় দুর্নীতি ছাড়া, সে জন্য কাজ করা দরকার। সেই কাজগুলো করার লোক থাকা সত্ত্বেও তা করা হচ্ছে না। যারা বেতনভুক্ত তদারককারী তারা দেখছে অথচ কিছু করছে না। আমরা নানাভাবে বিষয়টি তুলে ধরছি, কিন্তু কেউ সেটার গুরুত্ব দিচ্ছে না।
পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের অবস্থা একই। তবে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে এ মুহূর্তে আমেরিকার হুমকি ছাড়া রাষ্ট্র কিছুই করতে রাজি নয়। দেশের মালিক তাহলে কি অন্য কেউ?
টোমি লিন্ডকিভিস্ত স্টকহোম ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইউনিটের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে রেডি হয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে কত সময় লাগে?’ তিনি বললেন, ‘নির্ভর করে দূরত্বের ওপর। তবে সব মিলিয়ে সর্বোপরি সাত মিনিট, এর মধ্যেই আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে থাকি।’ এরপর নানা কথা বলতে বলতে দুই মাস আগের সন্ধ্যার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরলেন টোমি।
কয়েকজন কিশোর-কিশোরী বাইরে তুষারে খেলাধুলা করতে করতে হঠাৎ বাল্টিক সাগরে পা দেয়। তারা মনে করেছে সাগর জমে গেছে। জমেছে ঠিকই, তবে পুরোপুরি শক্ত হয়নি। তুষারে ঢাকা পড়ার কারণে বোঝার উপায় নেই পানির ওপরের বরফ কতটা শক্ত। তাদের মধ্যে একটি ছেলে সাগরের পানিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইমারজেন্সি নম্বর ১১২-তে ছেলেটির বন্ধুরা ফোন করে। ঘটনাটি ঘটে টোমির অবস্থানের গণ্ডির মধ্যে। তিনি তখন তাঁর দল নিয়ে এসে ছেলেটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস দৈনন্দিন কাজের ওপর কিছুদিন আগে একটি রিপোর্ট নজরে পড়েছিল। যেমন তারা খবর দেওয়ার আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা পরে আসে। এসে ছাইভস্মের মাঝে পানি ঢালে!
দেশ এবং দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত আরও আধুনিকায়ন করা দরকার। বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপণের জন্য মই থেকে শুরু করে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি থাকা দরকার।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে যতটুকু জেনেছি, অগ্নিকাণ্ডের সময় সব জায়গায় পানি সহজে পাওয়া যায় না। তাই তারা ওয়াসাকে বিশেষ কিছু স্থানে হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপনের তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা স্থাপিত হয়নি।
উন্নত বিশ্ব যেমন, সুইডেনে অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার মিক্সড যন্ত্রটি ব্যবহার করে। এটা দিয়ে অল্প পানি ব্যয়েই অগ্নিনির্বাপণ সম্ভব। এসব যন্ত্র বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে নেই। কবে সংযোজন হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার স্টেশনগুলোতে জনবলেরও ঘাটতি আছে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্মত যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। আবার যন্ত্রপাতির ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার কারণে অনেক যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এদিকে সুইডেনের টোমি বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি দেওয়াই তাঁদের কাজ।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫