Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

কুষ্টিয়া-২ আসন: তৃণমূল মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয়

কুষ্টিয়া-২ আসন: তৃণমূল মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয়

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। তবে প্রায় ২৪ হাজার ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের কাছে। এই নির্বাচনে অংশ নিতে কামারুল উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী আসন নিয়ে পরিকল্পনা ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। 

তিনবারের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনুর বিপক্ষে জয়ী হওয়াটাকে কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনে পরিশ্রম করেছিলাম। জনগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে ছিল বলেই বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে।’ 

পরাজিত হওয়ার পর সুষ্ঠু ভোট হয়নি—ইনুর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি কামারুল বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর সবাই অভিযোগ করেন। তবে আমি ব্যতিক্রম। আমি কখনো নির্বাচনে হারিনি। নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের বলেছিলাম সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে, এই নির্বাচনে হেরে গেলেও তাঁকে (ইনু) আমি সাধুবাদ জানাব। আর ১৪ দলের অন্যতম নেতা হিসেবে উনি কীভাবে বলেন, সুষ্ঠু ভোট হয়নি?’ 

নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল জানিয়ে নবনির্বাচিত এই এমপি বলেন, ‘ভাবনায় ছিল, দল আমাকে নমিনেশন দেবে, আমি নির্বাচন করব। ২০১৪ সাল থেকেই আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। গণভবনে আমাদের বলে দেওয়ার পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি।’ 

শরিক দলের সঙ্গে বিভক্তি-বিভাজন আছে, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অবস্থান কেমন হবে—জানতে চাইলে কামারুল আরেফিন বলেন, ‘সারা দেশে যত ভোটার আছে তার একভাগ ভোটও তাঁর (ইনু) নাই। যার একভাগ মানুষও নেই, তাঁর জন্য আবার জোটে কী প্রভাব পড়বে?’ 
নির্বাচনী আসন নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে এমপি কামারুল বলেন, ‘মিরপুর ও ভেড়ামারার জন্য কথা বলব। আমি ইউনিয়ন পরিষদেরও চেয়ারম্যান ছিলাম। সেখানে চৌকিদার ও দফাদারদের কষ্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তাঁদের কষ্টের কথা জাতীয় সংসদে বলেছি। আমার কাজ হবে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের পক্ষে কথা বলা।’ 

নির্বাচনে যেসব নেতা-কর্মী পক্ষে কাজ করেননি, তাঁদের কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নে কামারুল বলেন, ‘ভোটে সবাই পক্ষে থাকে না। কারও ক্ষতিসাধন করার আমার কোনো টার্গেট (লক্ষ্য) নেই।’ 

সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশে এমপি কামারুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার যে প্রতিফলন ঘটে নাই, মানুষের পাশে থেকে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত