সম্পাদকীয়
নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে দীর্ঘকালের সম্পর্ক ছিল পঙ্কজ মল্লিকের। সংগীত পরিচালনা করেছেন, গান গেয়েছেন, গাইয়েছেন অন্যকে দিয়ে। তো সেই নিউ থিয়েটার্সের চিত্র পরিচালক ছিলেন নীতীন বসু। থাকতেন পঙ্কজের পাশাপাশি পাড়ায়। কখনো পঙ্কজকে সঙ্গে করে নিয়ে অফিস যেতেন।
নীতীন বসু তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি করেন ‘দেবদাস’। দ্বিতীয় ছবি ‘ভাগ্যচক্র’। এই ভাগ্যচক্রই ভারতীয় সিনেমায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়েছিল। পঙ্কজকে নেওয়ার জন্য নীতীন চলে এসেছেন সকালে। একসঙ্গে নিউ থিয়েটার্সে যাবেন। কিন্তু তখন পঙ্কজ শুনছিলেন ‘প্যাগান’ নামে একটি ইংরেজি ছবির গান—‘কাম উইথ মি হোয়্যার মুনবিমস লাইট তাহিতিয়ান স্কাইস...’। পঙ্কজ নিজেও গাইছিলেন। হঠাৎ পঙ্কজ শুনলেন, নীতীন ডাকছেন, ‘পঙ্কজ, পঙ্কজ!’
রেকর্ড শোনা শেষ করেই কেবল বের হলেন পঙ্কজ। দেখলেন নীতীনের থমথমে মুখ। গাড়িতে নীতীন বসলেন তাঁর ভাইয়ের পাশে। ভাই ড্রাইভ করছিলেন। পঙ্কজ বসলেন পেছনে। একটু পর পঙ্কজ বলতে চাইলেন দেরি হওয়ার কারণ। কিন্তু গম্ভীর নীতীন তাঁর দিকে ফিরেও চাইলেন না। কয়েকবার চেষ্টা করলেন কথাটা পাড়তে, কিন্তু সফল হলেন না।
চৌরঙ্গির কাছে আসতেই নীতীন নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। বললেন, মিউজিয়ামের কাছে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে। একটু পর সেখানে এলেন একগাদা ইংলিশ ম্যাগাজিন নিয়ে। অফিসে পৌঁছে যে যার ঘরে যাওয়ার পর নীতীনের ঘরে ডাক পড়ল পঙ্কজের। নীতীন একটা রেকর্ড ছেড়েছেন। ‘প্যাগান’ সিনেমার সেই গানটা বাজছে। তিনি পঙ্কজকে গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইতে বললেন। গান শেষ হতেই পঙ্কজকে জড়িয়ে ধরে নাচতে শুরু করলেন। বলতে লাগলেন, ‘পেয়েছি রে পঙ্কজ, পেয়েছি! কী শুভক্ষণেই না তুই তোর বাড়িতে এই রেকর্ডটির সঙ্গে গাইছিলি! কী বিরাট আইডিয়া তুই আমার মাথায় খেলিয়ে দিলি!’
সেই থেকে শুরু হলো ভারতীয় ছবিতে প্লে-ব্যাক। গান জানা নায়ক-নায়িকার আর দরকার নেই এখন। বাইরে থেকে গাইবেন কেউ, তাঁরা শুধু ঠোঁট মেলাবেন।
সূত্র: পঙ্কজ কুমার মল্লিক, আমার যুগ, আমার গান, পৃষ্ঠা ৯৯-১০০
নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে দীর্ঘকালের সম্পর্ক ছিল পঙ্কজ মল্লিকের। সংগীত পরিচালনা করেছেন, গান গেয়েছেন, গাইয়েছেন অন্যকে দিয়ে। তো সেই নিউ থিয়েটার্সের চিত্র পরিচালক ছিলেন নীতীন বসু। থাকতেন পঙ্কজের পাশাপাশি পাড়ায়। কখনো পঙ্কজকে সঙ্গে করে নিয়ে অফিস যেতেন।
নীতীন বসু তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি করেন ‘দেবদাস’। দ্বিতীয় ছবি ‘ভাগ্যচক্র’। এই ভাগ্যচক্রই ভারতীয় সিনেমায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়েছিল। পঙ্কজকে নেওয়ার জন্য নীতীন চলে এসেছেন সকালে। একসঙ্গে নিউ থিয়েটার্সে যাবেন। কিন্তু তখন পঙ্কজ শুনছিলেন ‘প্যাগান’ নামে একটি ইংরেজি ছবির গান—‘কাম উইথ মি হোয়্যার মুনবিমস লাইট তাহিতিয়ান স্কাইস...’। পঙ্কজ নিজেও গাইছিলেন। হঠাৎ পঙ্কজ শুনলেন, নীতীন ডাকছেন, ‘পঙ্কজ, পঙ্কজ!’
রেকর্ড শোনা শেষ করেই কেবল বের হলেন পঙ্কজ। দেখলেন নীতীনের থমথমে মুখ। গাড়িতে নীতীন বসলেন তাঁর ভাইয়ের পাশে। ভাই ড্রাইভ করছিলেন। পঙ্কজ বসলেন পেছনে। একটু পর পঙ্কজ বলতে চাইলেন দেরি হওয়ার কারণ। কিন্তু গম্ভীর নীতীন তাঁর দিকে ফিরেও চাইলেন না। কয়েকবার চেষ্টা করলেন কথাটা পাড়তে, কিন্তু সফল হলেন না।
চৌরঙ্গির কাছে আসতেই নীতীন নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। বললেন, মিউজিয়ামের কাছে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে। একটু পর সেখানে এলেন একগাদা ইংলিশ ম্যাগাজিন নিয়ে। অফিসে পৌঁছে যে যার ঘরে যাওয়ার পর নীতীনের ঘরে ডাক পড়ল পঙ্কজের। নীতীন একটা রেকর্ড ছেড়েছেন। ‘প্যাগান’ সিনেমার সেই গানটা বাজছে। তিনি পঙ্কজকে গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইতে বললেন। গান শেষ হতেই পঙ্কজকে জড়িয়ে ধরে নাচতে শুরু করলেন। বলতে লাগলেন, ‘পেয়েছি রে পঙ্কজ, পেয়েছি! কী শুভক্ষণেই না তুই তোর বাড়িতে এই রেকর্ডটির সঙ্গে গাইছিলি! কী বিরাট আইডিয়া তুই আমার মাথায় খেলিয়ে দিলি!’
সেই থেকে শুরু হলো ভারতীয় ছবিতে প্লে-ব্যাক। গান জানা নায়ক-নায়িকার আর দরকার নেই এখন। বাইরে থেকে গাইবেন কেউ, তাঁরা শুধু ঠোঁট মেলাবেন।
সূত্র: পঙ্কজ কুমার মল্লিক, আমার যুগ, আমার গান, পৃষ্ঠা ৯৯-১০০
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫