Ajker Patrika

বরাদ্দের আগেই প্রতীক নিয়ে প্রচারণা

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ২০
বরাদ্দের আগেই প্রতীক নিয়ে প্রচারণা

চতুর্থে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন অনেক প্রার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের প্রতীক দাবি করে প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখো গেছে। চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ উপজেলায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা স্ব স্ব ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না।

প্রতীক বরাদ্দের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এই ধরনের প্রচার প্রচারণার বিষয়ে প্রার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি

এদিকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীরা।

গত শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে নির্বাচনী প্রচারের চিত্র দেখা গেছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠছে কে হচ্ছেন তাদের আগামীর প্রতিনিধি। দম ফেলার ফুরসত নেই প্রার্থীদের। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন তাঁরা।

এবারের নির্বাচনে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বাইরে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ সব প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। পাড়া-মহল্লা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। কেউ কেউ দলের প্রভাব ও পারিবারিক ঐতিহ্য দিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান ৭৪, ইউপি সদস্য ৪৫৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৩০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এতে আওয়ামী লীগের ১৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১২ জন, লাঙল প্রতীকে ২ জন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৮ জন ও সাধারণ সদস্য ৪ জনের মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ। এই ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাকে অবহিত করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত