Ajker Patrika

ভাঙনের মুখে বাজার

দাকোপ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৫৪
ভাঙনের মুখে বাজার

দাকোপের তিলডাঙা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার এলাকায় নদীভাঙনে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানির চাপে বটবুনিয়া বাজারের একপাশ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।

ওয়াপদা রাস্তার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। ভাঙনকবলিত স্থান দ্রুত মেরামত না করলে বটবুনিয়া বাজার এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে আমন ফসলসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে তিলডাঙা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজারের ভাঙনকবলিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ৩১নম্বর পোল্ডারে এর অবস্থান। তিলডাঙা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার রক্ষা বাঁধটি ঢাকি নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। ওয়াপদা রাস্তার প্রায় ৪০০ ফুট নদীভাঙনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাস্তার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয় ভাবে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জোয়ারের পানি বাড়ার কারণে তা বিফলে গেছে। ফলে নদীভাঙন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাজারের অধিকাংশ দোকান নদীতে চলে গেছে।

এ ছাড়া বাজারের পাকা ঘাটটি নদীর মধ্যে চলে গেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে মাঝে মধ্যে পানি ওয়াপদা রাস্তা ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।

কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী গাজীর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওয়াপদার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। তিন ভাগের দুই ভাগই ভেঙে গেছে নদীতে। যদি নদীতে বড় ধরনের জোয়ার হয় তাহলে যেকোনো সময় ওয়াপদা ভেঙে এলাকা পানিতে প্লাবিত হবে। সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ব।’

তিনি আরও জানান, বিষয়টি তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। তিনি দ্রুত নদী ভাঙনকবলিত এলাকা মেরামতসহ নদী শাসনের মাধ্যমে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সঞ্জয় সরকার জানান, ‘নদীভাঙন কবলিত স্থানটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মূলত এখানে দরকার নদী শাসনের। আগে নদী শাসন করতে হবে। পরে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। তাহলে এলাকায় নদীভাঙন কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।’

তিলডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন গাজী বলেন, ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় ভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে ভাঙন প্রাথমিকভাবে আটকানো হয়েছে। এ বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমরা দ্রুত ভাঙনরোধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পাইলিং করে জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে আটকানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

চিকিৎসক হওয়ার আগেই শীর্ষ সবার শীর্ষে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লতিফ সিদ্দিকী অবরুদ্ধ, নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে

সেজ ভাইয়ের চোখ উপড়ে ফেললেন অপর দুই ভাই, বাবাসহ আসামি ৮

রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শনের পর যা জানাল আইএইএর বিশেষজ্ঞ দল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত