Ajker Patrika

দাম বাড়ছেই নিত্যপণ্যের দিশেহারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত

হারুনুর রশিদ, রায়পুরাহারুনুর রশিদ, রায়পুরা
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ২১
দাম বাড়ছেই নিত্যপণ্যের দিশেহারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত

নরসিংদীর রায়পুরায় বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। চাল, ডাল, তেল, আটা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু, শাকসবজিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, সরকারঘোষিত কিছু পণ্যের দাম কম হলেও সঠিক তদারকির অভাবে ভোক্তাপর্যায়ে বেশির ভাগ পণ্যের দাম এখনো নিম্ন-মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থার নেওয়া হয়।

 গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা লিটার। গত বছর এই তেলের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০৫ টাকা। খোলা পাম অয়েলের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। সুপার পাম অয়েলের দাম ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭৫ টাকায়। তবে বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়। গত বছর মোটা চালের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। মিনিকেট ও সমমানের চাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম। চিকন মসুর ডাল কিছুদিন আগে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনো খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে গায়ের দামের চেয়ে ১০ টাকা বেশি রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা। আটা দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। পেঁয়াজ ২৫ টাকা, রসুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। তরিতরকারির কেজি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতা মো. কাসেম মিয়া বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে আমাদের পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে। সেই জন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। কোম্পানির লোকজন সয়াবিন তেলসহ সঙ্গে না চলা অতিরিক্ত পণ্য চাপিয়ে দেয়। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এবং তা না করে উপায় নেই। আমাদেরও তো খরচ বেশি পড়ে।’

পাইকারি দোকানের এক মালিক বলেন, ‘পাইকারিতে আমাদের বেশি টাকায় মাল কিনতে হয় বলেই বিক্রিও করতে হয় বেশি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থার নিয়ে থাকি। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত