Ajker Patrika

জমি থেকে পানি নামেনি পচে গেছে ধানগাছ

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৫
জমি থেকে পানি নামেনি পচে গেছে ধানগাছ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিতে জমিতে জমে থাকা পানির কারণে সময়মতো রোপা আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। জমির পানি সরাতে না পারায় অধিকাংশ জমিতে থাকা ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পচে গেছে। এ ছাড়া কোনো জমিতে পানি আবার কোনো জমিতে কাদার কারণে দেবে যাওয়ার ভয়ে হারভেস্টর মেশিন দিয়েও জমিতে ধান কাটতে পারছে না কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফলন ভালো হলেও সময়মতো আমন কাটতে পারছেন না চাষিরা। এতে ধানের গাছ পচে গিয়ে জমিতে শুয়ে গিয়ে অনেক ধান ঝরে পড়েছে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশঙ্কা কৃষকের। অপরদিকে গাছ পচে যাওয়ায় পশুখাদ্যের জোগান দিতেও হিমশিম খেতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। খড় না থাকলে কৃষকের জন্য গরুপালন এক রকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ প্রতি বছর কৃষক এবং পশু খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করে থাকেন এর প্রধান খাদ্য জোগান দেয় হচ্ছে ধানের খড়।

এই এলাকার কৃষকেরা জানান, বোরো আবাদের জন্য বীজতলাও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। সেই বীজ তলাও বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হচ্ছে তাঁদের। বৃষ্টি না হলে আরও আগেই ধান কাটা শেষ হয়ে যেতো।

সৈয়দাবাদ গ্রামের দাগন মোল্লা, আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, ‘বৃষ্টির আগে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নিবন্ধিত কৃষকদের মাঝে সার, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে দ্বিতীয়বার কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয় না কৃষি অফিস থেকে। কৃষককে নিজেদের অর্থায়নে বীজ কিনে পুনরায় বীজতলা তৈরি করতে হচ্ছে। তবে অর্থ সংকটে পড়ে জমিতে ফসল ফলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত