Ajker Patrika

নদীতে বাঁধ, জলাবদ্ধ খেত

পাইকগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ০৮: ৫৯
নদীতে বাঁধ, জলাবদ্ধ খেত

পাইকগাছায় উপজেলার ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম চাঁদখালী নদী। কিন্তু এ নদীতে নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার পানি প্রবাহ। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা-ঘাটসহ ফসলি জমি।

এ নিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদে অভিযোগ করলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিছু নেট-পাটা অপসরণ করলেও বাঁধগুলো এখনো অপসরণ হয়নি। তাঁদের দাবি দ্রুত বাঁধ অপসরণসহ পানি প্রবাহের পথ উন্মুক্ত করা হোক।

চাঁদখালী ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামের বাসুদেব সরকার জানান, পাইকগাছার চাঁদখালী নদীটি প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। এ নদী দিয়ে চাঁদখালী, গজালিয়া, কাটাবুনিয়া, কলমিবুনিয়াসহ ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু বদ্ধ জলমহল দেখিয়ে নদীটি চাঁদখালীর আজিজুল কালিদাসপুর মৎস সমবায় সমিতির নামে ইজারা নিয়েছেন। তিনি ইজারার নামে বাঁধ দিয়ে ৫ খণ্ড করে লাল চাঁদ ও দেবুসহ আরও অনেকের কাছে বিক্রি করেছেন।

কাঁটা বুনিয়ার মৃত সতীশ তরফদারের ছেলে সূর্যকান্ত তরফদার জানান, এ এলাকায় ৩ থেকে ৪ হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে। চাঁদখালী নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে পানি প্রবাহের পথ থাকে না।

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, নদীটি বদ্ধ ও ভরাট দেখিয়ে সরকার অনেকের কাছে বন্দোবস্ত দিয়েছে। সে কারণে খাল ভরাট করে বাড়ি ঘর তৈরি করেছে অনেকে। আবার অনেকেই নিজেদের জমি দাবি করে দখল করছে। যেন নদী দখলের উৎসব চলছে।

এ ব্যাপারে ইজারাদার আজিজুল বলেন, ‘আমি ইজারা নিয়ে নেট দিয়ে মাছ চাষ করছি। লাল চাঁদ দেবু ও বাঁধ দিয়ে চাষ করে না। এতে তো কারোর কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।’

এ বিষয়ে লাল চাঁদ ও দেবু বলেন, ‘আমরা টাকা দিয়ে এক খণ্ড নিয়েছি। আমরা পানি প্রবাহে কোনো বাধা দিচ্ছি না। অন্য খণ্ড যিনি নিয়েছেন তিনি বাঁধ দিয়েছে। আর অধিকাংশই বন্দোবস্ত জমি দাবি করে বাঁধ দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে চাঁদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস বলেন, ‘সবেমাত্র কয়েক দিন ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়েছি। আমি আমার নির্বাচনের ইশতেহারে বলেছি নদী ও হাট বাজার দখল উন্মুক্ত করব। আমার ইউনিয়নে কোনো খাস জমি দখল করা চলবে না। পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে মাছ চাষ ও ধান চাষের ক্ষতি করা চলবে না। আমি উপজেলা আইনশৃঙ্খলার সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু বলেন, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে নেট পাটা অপসরণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আর বাঁধগুলো তাঁরা নিজ খরচে অপসরণ করবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। যদি না করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, ‘এটি আমার জানা ছিল না। যখন জানলাম তখন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত