Ajker Patrika

কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২২, ১৫: ৪৯
কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত

কোরবানি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এ ইবাদত পালিত হয়। মানুষের জীবনের সবকিছু আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত—এই অনুভূতি জাগ্রত করতে মহান আল্লাহ সামর্থ্যবান বান্দাদের জন্য কোরবানি আবশ্যক করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল, বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তার জন্য নিবেদিত।’ (সুরা আনআম: ১৬২)

কোরবানির আদেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) আর কোরবানি হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই। এরশাদ হয়েছে, আল্লাহর কাছে সেগুলোর মাংস ও রক্ত পৌঁছায় না, বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) মহানবী (সা.)-এর কোরবানি সম্পর্কে ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ)

হাদিসে কোরবানির অসংখ্য ফজিলত ও প্রতিদানের কথা বিবৃত হয়েছে। কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মহানবী (সা.)। আরেক হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘কোরবানির ঈদের দিনে মানুষের সর্বোত্তম আমল হলো কোরবানি করা। কিয়ামতের ময়দানে জবাইকৃত জন্তু তার শিং, লোম, খুর নিয়ে এসে হাজির হবে। নিশ্চয়ই কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব, তোমরা খুশিমনে আনন্দচিত্তে কোরবানি করো।’ (ইবনে মাজাহ)

কোরবানি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি খুশিমনে সওয়াবের আশায় কোরবানি করবে, ওই কোরবানির জবাইকৃত পশু কোরবানিদাতার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।’ (আল-মুজামুল কাবির)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত