জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। গত ৩-৪ দিনের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। ভাঙন থেকে রক্ষা পায়নি ফসলি জমি ও গাছপালা। হুমকির মুখে থাকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রামের চিত্র এটি।
এলাকাবাসীর দাবি, যমুনার তীব্র ভাঙনে পাকরুল গ্রামটির আয়তন একেবারে ছোট হয়ে আসছে। ৯০ শতাংশ এলাকা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। বাকি আছে ১০ ভাগ। এটুকু চলে গেলে গ্রামটির নাম মুছে যাবে দেশের মানচিত্র থেকে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর এবং মাদারগঞ্জের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রামে। গত তিন দিনে এই গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, মসজিদ-মাদ্রাসা, ফসলি জমি এবং তিনটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ১৭ নম্বর পাকরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে ২০১৩ সালে ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যালয়টি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গ্রামটির প্রায় ৮০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকায় দেখা হয় ৬৫ বছর বয়সের মমেনা বেগমের সঙ্গে। মমেনার সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে যমুনা। বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি আর গোয়ালঘর, কিছুই নেই তাঁর। মমেনা বেগমের সঙ্গে কথা বলতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কী শুনতে চান, আপনাদের কয়ে কী হবু, সবকিছুই শেষ অইছে, এখন অন্য বাড়িতে ডেরা তুইলে থাহি, যেভাবে ভাঙতাছে অনুও তো থাকবার পামু না। মন্ত্রী আইসে দেইখে গেল। বাঁধ করবার চাইল, কিছু তো করল না। আজ যদি বাঁধ দিতে, তাহলে বাড়িঘরছাড়া হতাম না। মূর্খ মানুষ, ঢাহা শহর চিনি না। কী কইরা খামু, কোথায় যামু।’
পাকরুল গ্রামের রেহান আলী বলেন, ‘সব শেষ, এখন কী করমু, কোথায় যামু। ১০ বছর ধরে যমুনা ভাঙতাছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা থেকে এই গ্রামটি মুছে গেল। গ্রামে একটা স্কুল ছিল, তা-ও শেষ হয়ে গেল। ছেলে-মেয়ে আর লেখাপড়াও করতে পারবে না। বাড়িঘর নাই। অন্যের জমিতে আছি। পাকরুল গ্রামের ৯০ ভাগই নদী খাইছে। ১০ ভাগ আছে, সেটাও আর থাকব না। যেভাবে ভাঙতাছে দুই-তিন দিনের মধ্যে বাকি যা আছে, নদীতে যাবো।’
বৃদ্ধ জহির ফকির নদীর কিনারে গাছ কাটছিলেন। তিনি বলেন, ‘কিছুই নাই। গাছটা বিক্রি করে চাল-ডাল কিনে খাব। গরু-ছাগল সব শেষ করছি। নদী ফকির করে দিয়েছে। কী ছিল না আমার, সবই ছিল। দুই-তিন একর জমিতে ফসল করতাম, গোয়ালভরা গরু ছিল। বাড়ির উঠানে ধানের পাল্লা ছিল। আজ সেগুলো স্বপ্নের মতো। সরকার আমাদের রক্ষা করল না। এই এলাকার মানুষ নৌকায় ভোট দেয় কিন্তু এলাকার মন্ত্রী-এমপিরা এখানে একটা বাঁধের ব্যবস্থা করল না।’
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত বছরে গ্রামটির দুই হাজার বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। প্রায় ৯০ ভাগই নদীতে চলে গেছে। বাকি ছিল গ্রামটির ১০ ভাগ। যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রামে একটি স্কুল ছিল, সেটাও শেষ হয়ে গেল। আর কিছুই নেই। বাড়িঘর-জমিজমা সব হারিয়ে অন্যের জমিতে ডেরা তুলে বসবাস করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মাদারগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে পাকরুল গ্রামটি মুছে যাবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ এবং সরিষাবাড়ীর পিংনা এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীর গভীরতাসহ নানা পরিকল্পনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। গত ৩-৪ দিনের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। ভাঙন থেকে রক্ষা পায়নি ফসলি জমি ও গাছপালা। হুমকির মুখে থাকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রামের চিত্র এটি।
এলাকাবাসীর দাবি, যমুনার তীব্র ভাঙনে পাকরুল গ্রামটির আয়তন একেবারে ছোট হয়ে আসছে। ৯০ শতাংশ এলাকা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। বাকি আছে ১০ ভাগ। এটুকু চলে গেলে গ্রামটির নাম মুছে যাবে দেশের মানচিত্র থেকে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর এবং মাদারগঞ্জের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রামে। গত তিন দিনে এই গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, মসজিদ-মাদ্রাসা, ফসলি জমি এবং তিনটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ১৭ নম্বর পাকরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে ২০১৩ সালে ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যালয়টি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গ্রামটির প্রায় ৮০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকায় দেখা হয় ৬৫ বছর বয়সের মমেনা বেগমের সঙ্গে। মমেনার সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে যমুনা। বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি আর গোয়ালঘর, কিছুই নেই তাঁর। মমেনা বেগমের সঙ্গে কথা বলতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কী শুনতে চান, আপনাদের কয়ে কী হবু, সবকিছুই শেষ অইছে, এখন অন্য বাড়িতে ডেরা তুইলে থাহি, যেভাবে ভাঙতাছে অনুও তো থাকবার পামু না। মন্ত্রী আইসে দেইখে গেল। বাঁধ করবার চাইল, কিছু তো করল না। আজ যদি বাঁধ দিতে, তাহলে বাড়িঘরছাড়া হতাম না। মূর্খ মানুষ, ঢাহা শহর চিনি না। কী কইরা খামু, কোথায় যামু।’
পাকরুল গ্রামের রেহান আলী বলেন, ‘সব শেষ, এখন কী করমু, কোথায় যামু। ১০ বছর ধরে যমুনা ভাঙতাছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা থেকে এই গ্রামটি মুছে গেল। গ্রামে একটা স্কুল ছিল, তা-ও শেষ হয়ে গেল। ছেলে-মেয়ে আর লেখাপড়াও করতে পারবে না। বাড়িঘর নাই। অন্যের জমিতে আছি। পাকরুল গ্রামের ৯০ ভাগই নদী খাইছে। ১০ ভাগ আছে, সেটাও আর থাকব না। যেভাবে ভাঙতাছে দুই-তিন দিনের মধ্যে বাকি যা আছে, নদীতে যাবো।’
বৃদ্ধ জহির ফকির নদীর কিনারে গাছ কাটছিলেন। তিনি বলেন, ‘কিছুই নাই। গাছটা বিক্রি করে চাল-ডাল কিনে খাব। গরু-ছাগল সব শেষ করছি। নদী ফকির করে দিয়েছে। কী ছিল না আমার, সবই ছিল। দুই-তিন একর জমিতে ফসল করতাম, গোয়ালভরা গরু ছিল। বাড়ির উঠানে ধানের পাল্লা ছিল। আজ সেগুলো স্বপ্নের মতো। সরকার আমাদের রক্ষা করল না। এই এলাকার মানুষ নৌকায় ভোট দেয় কিন্তু এলাকার মন্ত্রী-এমপিরা এখানে একটা বাঁধের ব্যবস্থা করল না।’
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত বছরে গ্রামটির দুই হাজার বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। প্রায় ৯০ ভাগই নদীতে চলে গেছে। বাকি ছিল গ্রামটির ১০ ভাগ। যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রামে একটি স্কুল ছিল, সেটাও শেষ হয়ে গেল। আর কিছুই নেই। বাড়িঘর-জমিজমা সব হারিয়ে অন্যের জমিতে ডেরা তুলে বসবাস করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মাদারগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে পাকরুল গ্রামটি মুছে যাবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ এবং সরিষাবাড়ীর পিংনা এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীর গভীরতাসহ নানা পরিকল্পনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫