Ajker Patrika

বিজয়ী নৌকার ভানুলাল

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ২০: ৪৯
বিজয়ী নৌকার ভানুলাল

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ভানুলাল রায়। এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন আফজল হক ও প্রেমসাগর হাজরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পৃথকভাবে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপনির্বাচনে এবার ৮০টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রে ভানুলাল নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৬ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আফজল হক পেয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার ভোট। মিজানুর রব লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯০ ভোট। এই নির্বাচনে প্রথমবারের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন প্রেমসাগর হাজরা।

প্রেমসাগর হাজরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকেই ভানুলালের সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেন। দুপুরের পর কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেন। এ সময় অপর প্রার্থীদের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা সেন্টারে আমার কর্মী মোহন রবি দাশের ওপর হামলা চালান নৌকার সমর্থকেরা। এতে মোহনের মাথা ফেটে যায়।’

প্রেমসাগর আরও বলেন, ‘চা-শ্রমিকেরা বারবার জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন। আমি চা-শ্রমিকের সন্তান হয়ে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আমরা যাঁদের বারবার ভোট দিয়ে জিতিয়েছি, তাঁরাই এই নির্বাচনে কারচুপি করে আমাদের পরাজিত করার নীলনকশা করেছেন।’

আফজল হক বলেন, ‘আমরাও আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা যেভাবে কারচুপির করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এই নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মেরে বক্স ভর্তি করা হয়। এ জন্য আমরা এই নির্বাচন বর্জন করেছি।’

দুই প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে ভানুলাল রায় বলেন, ভোট শেষ হওয়ার পর তাঁরা ভোট বর্জন করেছেন। এটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে কালিমা লেপনের একটি অপপ্রয়াস। প্রেমসাগর হাজরা চা-বাগানের সন্তান। প্রত্যেকটি চা-বাগানের কেন্দ্রে তিনি বিপুল ভোটে বিজয় জয়লাভ করেছেন। ভোট নিরপেক্ষ না হলে এতগুলো সেন্টারে কীভাবে বিজয় লাভ করলেন? তা ছাড়া ভোট গণনা পর্যন্ত তাঁদের এজেন্টরা সেন্টারে ছিলেন। কোনো প্রার্থী পরাজিত হলে যা করে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।

সরেজমিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব ভোটকেন্দ্রেই ভোটারদের সংখ্যা অনেক কম। চা-বাগান ছাড়া বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। কোথাও ২০ শতাংশ, কোথাও ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। দুপুর ১২টার পর বেশির ভাগ কেন্দ্র খালি ছিল।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুই প্রার্থীর ভোট বর্জনের কথা লোকমুখে শুনেছি। তাঁরা এখনো জানাননি বা লিখিত দেননি। ভোট বর্জনের বিষয়টি আইনগত সিদ্ধ না। এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কিছু ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা সামাল দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত