Ajker Patrika

মেয়াদ শেষ, সম্মানি ভাতা পাননি ২০ কাউন্সিলর

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৩১
মেয়াদ শেষ, সম্মানি ভাতা পাননি ২০ কাউন্সিলর

নাটোরের লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার ২০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মেয়াদ শেষ হলেও সম্মানী ভাতা পাননি। বকেয়া ভাতার পরিমাণ ১৯ লাখ টাকা। তাঁদের ২০১০ ও ২০২০ সালে নির্বাচিত কাউন্সিলরের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি ভাতাবঞ্চিতরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

গোপালপুর পৌরসভার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনে ২০০৫ সালে ৯টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আবদুল বারি বাবলা, নাজির হোসেন, শাহাবাজ আলী, সেলিম রেজা, আবুল কালাম, বিমলেন্দু কর, গোলজার হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস মালিথা ও আনিসুজ্জামান বাবু নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নাজমা বেগম, রশিদা খানম ও তহমিনা বেগম নির্বাচিত হন। এই মেয়াদে তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা ছিল ৩ হাজার টাকা।

পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে এই ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও মেয়াদ শেষে তাঁদের ভাতা মোট বকেয়া পড়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। গত ১৬ বছরেও তা পরিশোধ করা হয়নি।

বকেয়া সম্মানী ভাতার জন্য কাউন্সিলররা দায়িত্বরত মেয়রদের কাছে ধরনা দিয়ে সমাধান পাননি। তাঁরা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়িয়ে গেছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বকেয়া ভাতার দাবিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা।

সাবেক কাউন্সিলর সেলিম রেজা বলেন, ২০০৫ ও ২০১৫ সালে চার নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রাপ্য সম্মানী ভাতা মেয়ররা নিয়মিত পরিশোধ করেননি। তিনি ১৬ বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত রয়েছেন।

গোপালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, পৌরসভার রাজস্ব আদায় থেকে বেতন-ভাতার টাকা পরিশোধ করা হয়ে থাকে। রাজস্ব কম হওয়ায় আর্থিক সংকটে তাঁর সময়ে আট মাসের সম্মানী ভাতা বকেয়া পড়ে। তাঁর আগের মেয়র মঞ্জুরুল ইসলাম বিমলের সময় সাত মাসের ভাতা বকেয়া ছিল।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রশিদা খানম বলেন, প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার টাকার ভাতা বকেয়া পাওনা রয়েছে। সরকার ২০১৫ সালে সম্মানী ভাতা ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার টাকা করেছে। বকেয়া পরিশোধ না করায় তিনি সে সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।

নবনির্বাচিত মেয়র রোখসানা মোর্ত্তজা লিলি বলেন, তিনি আট মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর আগের মেয়াদে দায়িত্বে থাকা মেয়ররা ভাতার টাকা পরিশোধ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এক মাসের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত