Ajker Patrika

নদীতীরের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ৫৪
নদীতীরের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি

গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রির উৎসব চলছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় মাটি কাটার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এসব মাটি কেটে বিক্রি করে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে বর্ষাকালে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হয়।

উপজেলার গোসিঙ্গা ও বরমী ইউনিয়নের বেশ কিছু স্থান থেকে মাটি কেটে বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ কারণে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করা হলেও থামছে না মাটি বিক্রি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু হয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার তীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। কোনো কোনো স্থান থেকে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। নদী থেকে দুটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে গাড়ি চলাচলের জন্য। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে ভোর থেকে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে কাটা হয় মাটি। এরপর তা ডাম্প ট্রাকে করে পৌঁছে দেওয়া হয় বিভিন্ন ভাটায়। দেখা যায় নদীতীরে পানির কাছাকাছি জমি থেকে গভীর গর্ত করে কেটে নেওয়া হয়েছে মাটি।

এ ছাড়া বরমী ইউনিয়নের বরামা এলাকায় নদীতীরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে রাতের আঁধারে। ফলে তীরে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রভাব খাটিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন। আর ইটভাটার মালিকেরা ভালো মানের মাটি কম দামে পাওয়ার কারণে তা কিনে নিচ্ছেন। তীরের মাটি কেটে নেওয়ার ফলে বর্ষাকালে নদীভাঙন শুরু হয়। এতে ঘরবাড়ি ও ফসিল জমির ক্ষতি হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়া বলেন, ‘আমি কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে বিক্রি করি। নদীর মাটি কাটা হয় না।’ আপনি তো নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. লিটন মিয়া বলেন, ‘যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা হয়তো ভুল করে একটু ভেতরের মাটি কেটে ফেলেছেন। আপনি আমার সঙ্গে দেখা করেন, সাক্ষাতে বিস্তারিত বলব।’

স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী রবিন বলেন, ‘নদী কত জায়গা নিয়ে তা জানা নেই। আমরা স্থানীয় কৃষকের মাটি কিনে বিক্রি করছি।’ কার কাছ থেকে কিনেছেন? আর ভোরে মাটি কেটে বিক্রি করেন কেন? এ প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দেননি।

গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহিন মোড়ল বলেন, ‘নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রির সঙ্গে কে কে জড়িত, খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেব।’

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মাটি কেটে বিক্রির বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

মন্ত্রীর আত্মীয়তাই ‘যোগ্যতা’

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ, মোট পরিশোধ ১.৫ বিলিয়ন

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত