সম্পাদকীয়
তাওয়াংয়ে যাওয়ার ঘটনা লিখেছেন নবনীতা দেবসেন। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ট্রাকে করে একা চলে গেছেন নতুনের সন্ধানে। সেই অভিজ্ঞতার কথা বারবার লিখতে চেয়েছেন। কিন্তু অনেক দিন পারেননি। ভেবেছেন, লিখে ফেললে তো সেটা সবার সম্পত্তি হয়ে গেল। একা একা তারিয়ে তারিয়ে বিষয়টি উপভোগ না করলে চলবে কীভাবে?
তো, সেই ভ্রমণের আগের একটি ঘটনা। নবনীতা সারা জীবনই মুক্ত মানুষ। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি বড় চঞ্চল, বড় অস্থির। কখনো এস্পার, কখনো ওস্পার। এই ছিলুম ঘরে, এই বসেছি পাড়ে।’
দমদম এয়ারপোর্ট থেকে গোয়াহাটি পর্যন্ত এসে ট্রানজিটে বসে ছিলেন নবনীতা। সেখানে দেখা ড. আশুতোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনিই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার? নবনীতা যে? এদিকে কোথায়?’
নবনীতা প্রণাম করতে করতে জবাব দিলেন, ‘এই যে একটু যোড়হাটে।’
‘শিবসাগরে সাহিত্য সভায়?
আমিও তো সেদিকে।’
‘না, আমি শিবসাগরে যাচ্ছি না। আমি যাচ্ছি যোড়হাটে। সেখানে মহিলা সাহিত্যিক সম্মেলন হচ্ছে।’
গোয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে ঘণ্টাখানেক পরে যোড়হাটের প্লেনে চেপে বসতে হবে। সেখানে নেমে ড. আশুতোষ চলে যাবেন শিবসাগর।
ঘোষণা এল, ‘এবার যোড়হাটের যাত্রীরা বিমানে উঠে পড়ুন।’
নিরাপত্তা তল্লাশি হয়ে গেছে, তাই দুজনে মিলে উঠে পড়লেন একটা প্লেনে, চালিয়ে গেলেন কথা। নবনীতা লক্ষ করলেন, আশপাশের লোকজন তাঁদের দিকে তাকিয়ে উসখুস করছে। নবনীতাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘সরি, আমরা কি বড্ড জোরে জোরে কথা বলছি?’
এক ভদ্রলোক বললেন, ‘আপনারা দুজন বোধ হয় যোড়হাটে যাচ্ছেন?’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’ বলেন নবনীতা।
‘এই প্লেনটা তো দমদমে যাচ্ছে। তাই ভাবছিলুম…’
প্লেনসুদ্ধ সবাই বলতে থাকে, ‘নেমে যান, নেমে যান।’
ঊর্ধ্বশ্বাসে ড. আশুতোষ আর নবনীতা নেমে আসেন প্লেন থেকে। দৌড়াতে থাকেন সামনের দিকে। অদূরে দাঁড়িয়ে আছে পুঁটিমাছের মতো ছোট্ট এক উড়োজাহাজ! যার গন্তব্য যোড়হাট।
সূত্র: নবনীতা দেবসেন, ট্রাক বাহনে ম্যাকমাহনে, পৃষ্ঠা ৬-৮
তাওয়াংয়ে যাওয়ার ঘটনা লিখেছেন নবনীতা দেবসেন। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ট্রাকে করে একা চলে গেছেন নতুনের সন্ধানে। সেই অভিজ্ঞতার কথা বারবার লিখতে চেয়েছেন। কিন্তু অনেক দিন পারেননি। ভেবেছেন, লিখে ফেললে তো সেটা সবার সম্পত্তি হয়ে গেল। একা একা তারিয়ে তারিয়ে বিষয়টি উপভোগ না করলে চলবে কীভাবে?
তো, সেই ভ্রমণের আগের একটি ঘটনা। নবনীতা সারা জীবনই মুক্ত মানুষ। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি বড় চঞ্চল, বড় অস্থির। কখনো এস্পার, কখনো ওস্পার। এই ছিলুম ঘরে, এই বসেছি পাড়ে।’
দমদম এয়ারপোর্ট থেকে গোয়াহাটি পর্যন্ত এসে ট্রানজিটে বসে ছিলেন নবনীতা। সেখানে দেখা ড. আশুতোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনিই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার? নবনীতা যে? এদিকে কোথায়?’
নবনীতা প্রণাম করতে করতে জবাব দিলেন, ‘এই যে একটু যোড়হাটে।’
‘শিবসাগরে সাহিত্য সভায়?
আমিও তো সেদিকে।’
‘না, আমি শিবসাগরে যাচ্ছি না। আমি যাচ্ছি যোড়হাটে। সেখানে মহিলা সাহিত্যিক সম্মেলন হচ্ছে।’
গোয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে ঘণ্টাখানেক পরে যোড়হাটের প্লেনে চেপে বসতে হবে। সেখানে নেমে ড. আশুতোষ চলে যাবেন শিবসাগর।
ঘোষণা এল, ‘এবার যোড়হাটের যাত্রীরা বিমানে উঠে পড়ুন।’
নিরাপত্তা তল্লাশি হয়ে গেছে, তাই দুজনে মিলে উঠে পড়লেন একটা প্লেনে, চালিয়ে গেলেন কথা। নবনীতা লক্ষ করলেন, আশপাশের লোকজন তাঁদের দিকে তাকিয়ে উসখুস করছে। নবনীতাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘সরি, আমরা কি বড্ড জোরে জোরে কথা বলছি?’
এক ভদ্রলোক বললেন, ‘আপনারা দুজন বোধ হয় যোড়হাটে যাচ্ছেন?’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’ বলেন নবনীতা।
‘এই প্লেনটা তো দমদমে যাচ্ছে। তাই ভাবছিলুম…’
প্লেনসুদ্ধ সবাই বলতে থাকে, ‘নেমে যান, নেমে যান।’
ঊর্ধ্বশ্বাসে ড. আশুতোষ আর নবনীতা নেমে আসেন প্লেন থেকে। দৌড়াতে থাকেন সামনের দিকে। অদূরে দাঁড়িয়ে আছে পুঁটিমাছের মতো ছোট্ট এক উড়োজাহাজ! যার গন্তব্য যোড়হাট।
সূত্র: নবনীতা দেবসেন, ট্রাক বাহনে ম্যাকমাহনে, পৃষ্ঠা ৬-৮
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫