সম্পাদকীয়
সি আর দত্ত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তাঁর পুরো নাম চিত্ত রঞ্জন দত্ত। তবে তিনি সি আর দত্ত নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
সি আর দত্ত ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের রাজধানী শিলংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে চলে আসে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে।
শিলংয়ের লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের পর তিনি হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে এখান থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর কলকাতার আশুতোষ কলেজে ভর্তি হলেও পরে খুলনার দৌলতপুর কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৫১ সালে যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে আসালংয়ে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন সি আর দত্ত। সেই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁকে দেওয়া হয় ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব। সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর সেক্টর ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থান।
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি। চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চা-বাগানের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করেন। রণকৌশলের অংশ হিসেবে পরে রশীদপুর থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নেন মৌলভীবাজারে। ওই সেক্টরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যার বেশ কয়েকটিতে নিজেই নেতৃত্ব দেন সি আর দত্ত।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব লাভ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রথম মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
সি আর দত্ত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
সি আর দত্ত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তাঁর পুরো নাম চিত্ত রঞ্জন দত্ত। তবে তিনি সি আর দত্ত নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
সি আর দত্ত ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের রাজধানী শিলংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে চলে আসে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে।
শিলংয়ের লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের পর তিনি হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে এখান থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর কলকাতার আশুতোষ কলেজে ভর্তি হলেও পরে খুলনার দৌলতপুর কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৫১ সালে যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে আসালংয়ে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন সি আর দত্ত। সেই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁকে দেওয়া হয় ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব। সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর সেক্টর ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থান।
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি। চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চা-বাগানের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করেন। রণকৌশলের অংশ হিসেবে পরে রশীদপুর থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নেন মৌলভীবাজারে। ওই সেক্টরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যার বেশ কয়েকটিতে নিজেই নেতৃত্ব দেন সি আর দত্ত।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব লাভ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রথম মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
সি আর দত্ত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫