Ajker Patrika

জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় পর্যটকদের

সজল সরকার, টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ)
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ২৫
জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় পর্যটকদের

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশের বাইরে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিদর্শন করতে আসেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে এসব পর্যটকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াত সাহায্য করে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের সরকারি গণগ্রন্থাগার। জ্ঞানপিপাসু পর্যটকেরা এখানে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে সময় কাটাতে পারেন। অনেকে আবার পত্রিকা পড়ে সময় কাটান।

শান্ত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধুর লেখা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রায় তিন শতাধিক বই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ও তাঁর সংগ্রামী জীবনের বইসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, ধর্মগ্রন্থ, সাহিত্য, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড ও অ্যাফেয়ার্স সংগ্রহে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন পাওয়া যায় এ গ্রন্থাগারে।

শিশু-কিশোরদের জ্ঞানের বিকাশের জন্য একই কক্ষের ভেতরে শিশু কর্নার গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে শিশুতোষ সব ধরনের বই-ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। তা ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে প্রবীণ কর্নার। নিয়মিত পাঠকেরা গ্রন্থাগারের সদস্যপদ লাভ করে প্রয়োজনে বই বাসায় নিয়ে পড়তে পারেন।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের গণগ্রন্থাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি এই গণগ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন এই গ্রন্থাগারটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত হতো। ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে গ্রন্থাগারের প্রকল্প মেয়াদ শেষ করে। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদের ঘোষণায় পুনরায় এটি চালু করা হয়। তখন এই গ্রন্থাগারটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর ২০১৭ সালে গ্রন্থাগারটি পুনরায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে বর্তমান সরকার। গণগ্রন্থাগারটি আধুনিকায়নের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে এখানে মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে ফটোগ্রাফি কর্নার, ইন্টারনেট সেবাসহ নানাবিদ সুবিধা রয়েছে। গ্রন্থাগারটি সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে।

খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া ঘরামি বলে, জাতির পিতার সমাধিসৌধ গণগ্রন্থাগারের শিশু কর্নারে রাখা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই পড়ে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এ মহান নেতা সম্পর্কে যতই পড়ছে ততই তাঁর সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ছে।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ আব্দুর রহিম জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের লাইব্রেরিতে নিয়মিত আসেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী, বঙ্গবন্ধুর লেখা বইসমূহ, প্রধানমন্ত্রীর লেখা বইসহ দেশি-বিদেশি বিশ্বমানের লেখকের বই রয়েছে এ গ্রন্থাকারে। তাই এখানে বই পড়তে ভালো লাগে। এ ছাড়া শান্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ থাকায় এখান থেকে যেতে মন চায় না। তবে প্রায়ই বসার জায়গা না পাওয়ায় চলে যায় অনেক পাঠক। তাই পর্যাপ্ত বসার স্থান থাকলে পাঠকেরা ফিরে যাবে না বলে মন্তব্য তাঁর।

গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান যোগেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, পাঠকদের সেবা দেওয়ার জন্য গ্রন্থাগারটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তাই তাঁদের পক্ষ থেকে পাঠকদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু লাইব্রেরির পরিধি ছোট ও আসন কম থাকায় অনেকে বসতে পারে না। এ ছাড়া শিশুকর্নারটি যদি আলাদা করা হয় তাহলে শিশুদের অভিভাবকসহ পাঠকদের অনেক সুবিধা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা ছাত্রদল কর্মী ইপ্সিতার, ধর্ষণের অভিযোগ আসে ৯৯৯ থেকে

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত