Ajker Patrika

অর্থনীতি চাঙায় সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ২৭
অর্থনীতি চাঙায় সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে

আর্থিক তথ্য সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যমনি। ঐতিহাসিকভাবে আর্থিক নীতি প্রণয়নে তথ্যেও গুরুত্ব ছিল। যখনই দেখা গেছে, অর্থনীতিতে চাহিদা কমে গেছে, তখনই সরকার ব্যয় বাড়িয়ে চাহিদা সৃষ্টি করেছে। করোনা অতিমারির সময় বৈশ্বিকভাবে এর ঐকমত্যও হয়েছে। কারণ করোনায় বিশ্বব্যাপী উৎপাদন, সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। চাহিদা কমে গেছে। এ সময় সরকারের ব্যয় বাড়াতেই হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা কর্মসূচির মধ্যে ব্যয় বাড়াতে হবে।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের অভাব দেখা দিলেও বাংলাদেশ সরকারের টাকার অভাব ছিল না। কিন্তু ব্যয় করাই বাংলাদেশের মূল সমস্যা ছিল। সক্ষমতার সঙ্গে সঠিক মানুষের কাছে প্রণোদনার টাকা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

গতকাল মঙ্গলবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উন্নয়নে আর্থিক তথ্য ও তথ্য অধিকারের ব্যবহার নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) এই সদস্য এসব কথা বলেন। এশিয়া ফাউন্ডেশন, সিপিডি ও অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও রয়টার্সের সাবেক ব্যুরোপ্রধান সিরাজুল ইসলাম কাদির।

সিরাজুল ইসলাম কাদির বলেন, ‘এ টু আই প্রকল্প ডিজিটালাইজেশনে অনেক অগ্রগতি করলেও কোন এলাকায় সংক্রমণ কেমন তা বের করা সম্ভব হয়নি। এমনকি কত প্রণোদনা দেওয়া হলো, কারা পেল, কত বিতরণ হলো, তা জনপ্রতিনিধিরাও জানেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত