সম্পাদকীয়
দেশের আনাচেকানাচে গজিয়ে উঠেছে হাজার হাজার অনিবন্ধিত ক্লিনিক-হাসপাতাল। অধিকাংশ হাসপাতালে প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। মাঝেমধ্যে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগও পাওয়া যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। দেশজুড়ে এমন অবৈধ, নিবন্ধনহীন হাসপাতালের সংখ্যা হাজার হাজার, যেগুলোর বেশির ভাগেরই নাম ও অবস্থান জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ‘নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১,২০৫ হাসপাতাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপরই তালিকা তৈরি করা শুরু হয়।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। আয়ানের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় এত দিন পর্যন্ত এই হাসপাতালের নিবন্ধন ছিল না। ঘটনাটি চাউর হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন।
এমনিতেই বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় বেশি। এর একটি প্রধান কারণ রোগ নির্ণয়ে ব্যয় বেশি। সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, লোকবল ও অন্যান্য বিষয়ের সংকটের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া যায় না। এ জন্য রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যান।
এর আগেও এ রকম অবৈধ, নিবন্ধনহীন বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে নানা সময়ে অভিযান পরিচালিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং এই সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েছে। পরবর্তী সময়ে তদারকির অভাবে আবার অবৈধভাবে এসব হাসপাতাল চালু হয়েছে। শুধু অভিযান চালিয়ে এসব অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১৯৮২ সালে যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্য খাত গড়ে উঠেছিল, সেটা পরে আইনে পরিণত হলেও এর বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের চিকিৎসাসেবার ৭৫ থেকে ৮০ ভাগই বেসরকারি খাতে হয়ে থাকে। এখন তো বৈধর চেয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। এ জন্য আসলে প্রয়োজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটা আলাদা তদারকি বিভাগ গঠন করা। এই বিভাগকে পর্যাপ্ত জনবল ও ক্ষমতা দিতে হবে। তারা সারা বছরই এগুলো মনিটরিং করবে।
নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতের অসুখ নিরাময়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটি প্রশংসনীয় ব্যাপার। কিন্তু সেসবের ধারাবাহিকতা না থাকলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া অসম্ভব ব্যাপার না। তাই সবচেয়ে জরুরি হলো, পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য আছে, তার মূলোৎপাটন করতে হবে আগে।
কেন এবং কীভাবে এত দিন ধরে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল চালু ছিল, তার কারণ খুঁজে বের করা দরকার। একই সঙ্গে এই অনিবন্ধিত হাসপাতালগুলো শুধু বন্ধ করলেই হবে না, মাঠপর্যায়ে নজরদারিও জোরদার করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এসব কাজ করা জরুরি।
দেশের আনাচেকানাচে গজিয়ে উঠেছে হাজার হাজার অনিবন্ধিত ক্লিনিক-হাসপাতাল। অধিকাংশ হাসপাতালে প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। মাঝেমধ্যে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগও পাওয়া যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। দেশজুড়ে এমন অবৈধ, নিবন্ধনহীন হাসপাতালের সংখ্যা হাজার হাজার, যেগুলোর বেশির ভাগেরই নাম ও অবস্থান জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ‘নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১,২০৫ হাসপাতাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপরই তালিকা তৈরি করা শুরু হয়।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। আয়ানের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় এত দিন পর্যন্ত এই হাসপাতালের নিবন্ধন ছিল না। ঘটনাটি চাউর হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন।
এমনিতেই বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় বেশি। এর একটি প্রধান কারণ রোগ নির্ণয়ে ব্যয় বেশি। সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, লোকবল ও অন্যান্য বিষয়ের সংকটের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া যায় না। এ জন্য রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যান।
এর আগেও এ রকম অবৈধ, নিবন্ধনহীন বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে নানা সময়ে অভিযান পরিচালিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং এই সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েছে। পরবর্তী সময়ে তদারকির অভাবে আবার অবৈধভাবে এসব হাসপাতাল চালু হয়েছে। শুধু অভিযান চালিয়ে এসব অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১৯৮২ সালে যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্য খাত গড়ে উঠেছিল, সেটা পরে আইনে পরিণত হলেও এর বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের চিকিৎসাসেবার ৭৫ থেকে ৮০ ভাগই বেসরকারি খাতে হয়ে থাকে। এখন তো বৈধর চেয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। এ জন্য আসলে প্রয়োজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটা আলাদা তদারকি বিভাগ গঠন করা। এই বিভাগকে পর্যাপ্ত জনবল ও ক্ষমতা দিতে হবে। তারা সারা বছরই এগুলো মনিটরিং করবে।
নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতের অসুখ নিরাময়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটি প্রশংসনীয় ব্যাপার। কিন্তু সেসবের ধারাবাহিকতা না থাকলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া অসম্ভব ব্যাপার না। তাই সবচেয়ে জরুরি হলো, পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য আছে, তার মূলোৎপাটন করতে হবে আগে।
কেন এবং কীভাবে এত দিন ধরে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল চালু ছিল, তার কারণ খুঁজে বের করা দরকার। একই সঙ্গে এই অনিবন্ধিত হাসপাতালগুলো শুধু বন্ধ করলেই হবে না, মাঠপর্যায়ে নজরদারিও জোরদার করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এসব কাজ করা জরুরি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪