ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়েছে। মেঝেতেও ঠাঁই হচ্ছে না অনেকের। এতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে স্বাভাবিকভাবে আড়াই হাজারের মতো রোগী চিকিৎসা নেন। সেখানে এখন চার থেকে পাঁচ শ জন বেশি রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর সঙ্গে করোনা রোগীদেরও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সেবা দিচ্ছে হাসপাতালটি। তীব্র জনবল সংকট থাকলেও রোগীদের জন্য সেবার মান ঠিক রেখে সবকিছু সামলানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও কয়েক জন রোগী অভিযোগ করেছেন, রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালে সেবার মান কিছুটা কমেছে।
শম্ভুগঞ্জ এলাকার আব্দুল হালিম বলেন, গত শুক্রবার নাতিন জামাইকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। আসন খালি না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। রোগীর এমন চাপ যে, হেঁটে যাওয়ারও জায়গা নেই। চিকিৎসক দিনে একবার আসলেও নার্সরা দুই-তিনবার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ভাগনেকে নিয়ে গত শনিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন দুলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রুমের ভেতরে সিট পাওয়া তো দূরের কথা বারান্দায় জায়গা নেই। কোনোভাবে এক কোণে বসার মতো একটু জায়গা পেয়েছি।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও আশপাশের আরও কয়েকটি জেলার রোগীরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সেবা নিতে। চিকিৎসার মান ভালো হওয়ায় সম্প্রতি রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালে।
অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের বারান্দাতেও ঠাঁই হচ্ছে না অনেকের। এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন প্রায় দুই হাজার ৯ শ জনের মতো।
এ বিষয়ে মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘সেবার মান ভালো হওয়ায় রোগীর অনেক চাপ বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দৈনিক গড় রোগী ছিল আড়াই হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার থেকে ৩২ শ’র মধ্যে। তবুও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এবারের মতো রোগীর চাপ হাসপাতালে আর দেখিনি। বসে থাকার মতোও একটু ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের ওপর মানুষ।’ এত রোগীর মধ্যে সেবার মান একটু কমে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গাইনি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘লেবার ওয়ার্ড মানেই রোগীর চাপ। তবে কয়েক দিন ধরে রোগীর একটু চাপ বেশি। তাই কাজেরও চাপ বাড়ছে।’
একই ওয়ার্ডের নার্স চিত্রালেখা রায় বলেন, রোগীর চাপে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বেডের তুলনায় রোগী দুই থেকে তিন গুন। তবুও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ‘সেবার মান ভালো হওয়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক হাজার এক শ নার্স রয়েছে। সেবা নিশ্চিত করতে আরও এক হাজার নার্স দরকার।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী বলেন, ‘মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় রোগী একটু বাড়ছে। এক হাজার শয্যার হাসপাতালে প্রায় দুই হাজার ৯ শ রোগী ভর্তি রয়েছে। জনবল সংকট থাকার পরেও আমরা চেষ্টা করছি সেবার মান ঠিক রাখার জন্য।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়েছে। মেঝেতেও ঠাঁই হচ্ছে না অনেকের। এতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে স্বাভাবিকভাবে আড়াই হাজারের মতো রোগী চিকিৎসা নেন। সেখানে এখন চার থেকে পাঁচ শ জন বেশি রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর সঙ্গে করোনা রোগীদেরও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সেবা দিচ্ছে হাসপাতালটি। তীব্র জনবল সংকট থাকলেও রোগীদের জন্য সেবার মান ঠিক রেখে সবকিছু সামলানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও কয়েক জন রোগী অভিযোগ করেছেন, রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালে সেবার মান কিছুটা কমেছে।
শম্ভুগঞ্জ এলাকার আব্দুল হালিম বলেন, গত শুক্রবার নাতিন জামাইকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। আসন খালি না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। রোগীর এমন চাপ যে, হেঁটে যাওয়ারও জায়গা নেই। চিকিৎসক দিনে একবার আসলেও নার্সরা দুই-তিনবার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ভাগনেকে নিয়ে গত শনিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন দুলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রুমের ভেতরে সিট পাওয়া তো দূরের কথা বারান্দায় জায়গা নেই। কোনোভাবে এক কোণে বসার মতো একটু জায়গা পেয়েছি।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও আশপাশের আরও কয়েকটি জেলার রোগীরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সেবা নিতে। চিকিৎসার মান ভালো হওয়ায় সম্প্রতি রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালে।
অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের বারান্দাতেও ঠাঁই হচ্ছে না অনেকের। এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন প্রায় দুই হাজার ৯ শ জনের মতো।
এ বিষয়ে মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘সেবার মান ভালো হওয়ায় রোগীর অনেক চাপ বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দৈনিক গড় রোগী ছিল আড়াই হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার থেকে ৩২ শ’র মধ্যে। তবুও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এবারের মতো রোগীর চাপ হাসপাতালে আর দেখিনি। বসে থাকার মতোও একটু ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের ওপর মানুষ।’ এত রোগীর মধ্যে সেবার মান একটু কমে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গাইনি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘লেবার ওয়ার্ড মানেই রোগীর চাপ। তবে কয়েক দিন ধরে রোগীর একটু চাপ বেশি। তাই কাজেরও চাপ বাড়ছে।’
একই ওয়ার্ডের নার্স চিত্রালেখা রায় বলেন, রোগীর চাপে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বেডের তুলনায় রোগী দুই থেকে তিন গুন। তবুও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ‘সেবার মান ভালো হওয়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক হাজার এক শ নার্স রয়েছে। সেবা নিশ্চিত করতে আরও এক হাজার নার্স দরকার।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী বলেন, ‘মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় রোগী একটু বাড়ছে। এক হাজার শয্যার হাসপাতালে প্রায় দুই হাজার ৯ শ রোগী ভর্তি রয়েছে। জনবল সংকট থাকার পরেও আমরা চেষ্টা করছি সেবার মান ঠিক রাখার জন্য।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫