Ajker Patrika

খোয়া ফেলে উধাও ঠিকাদার

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ২০ মে ২০২২, ১৮: ৫১
খোয়া ফেলে উধাও ঠিকাদার

মুলাদীতে সড়কের কাজ ফেলে রেখে গেছেন ঠিকাদার। ফলে দীর্ঘ দু বছরেও সমাপ্ত হয়নি কাজ। উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা নতুন হাট থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় সেখানে লেগুনা, অটোরিকশা, ভ্যান পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে ফেলে রাখায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটির কয়েকটি অংশ ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন নতুন হাটের ব্যবসায়ীরা।

চরবাটামারা গ্রামের বাসিন্দা মো. মহসিন উদ্দীন জানান, ২০২০ সালের শুরুতে বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা তুলাতলা মোড় থেকে নতুন হাটের মধ্য দিয়ে খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কটি পিচ ঢালাই করার কাজ শুরু হয়। বরিশাল সদরের আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ঠিকাদার সড়কের কাজ পেয়েছিলেন। তিনি ওই বছর বেশ কিছুদিন সড়কটি খুঁড়ে রেখে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছিলেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) চাপে সড়কটিতে বালু ভরাট এবং ইটের খোয়া দেন। পরে করোনা মহামারি পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে ঠিকাদার কাজ শেষ না করেই চলে যান। দীর্ঘ ২ বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করেননি।

ওই গ্রামের হাসেম সরদার বলেন, চরবাটামারা তুলাতলা মোড় থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়ক দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতে হয়। বাটামারা বিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেলিমপুর বাজার, সফিপুর মুন্সীরহাট নূর এ তাজ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।

চরবাটামারা নতুন হাটের ব্যবসায়ী আনছার রাড়ী বলেন, সড়কে খোয়া ফেলে ২০২০ সালের মার্চে ঠিকাদারের লোকজন চলে গেছে।

ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, ওই ঠিকাদার আরও কাজ করবেন বলে মনে হচ্ছে না। নতুনভাবে দরপত্র দিয়ে সড়কের কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. তানজিলুর রহমান জানান, ঠিকাদারকে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না হলে পুনঃ দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার দিয়ে দ্রুত সড়কের কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত