Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থেমে নেই কোনো কার্যক্রম

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২২, ১২: ৫৯
নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থেমে  নেই কোনো কার্যক্রম

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা মানছে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারা নিয়মিত চালাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম।

ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসার সুপার নিয়োগ, বেআইনিভাবে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠন ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বাতিল চেয়ে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. বশির আহমেদ আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পটুয়াখালীর গলাচিপা সহকারী জজ আদালতের বিচারক সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া, সুপার মো. আবুল বাশার, ওই মাদ্রাসার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. রুহুল আমিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মানছুর আহমেদের সব কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এবং মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার সুপার মো. আবুল বাশার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মানছুর আহমেদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমপিও করার সময় কাটপিস করে জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়। কিন্তু বিষয়টি তদন্তকালে সভাপতিসহ মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি বলে আদালতকে জানিয়েছেন। কিন্তু নিয়োগের আগে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনয়নসহ সব কাজে জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানকৃত অংশ ব্যবহার করেন। তবে ওই তারিখে মূল দৈনিক পত্রিকাটিতে উল্লেখিত মাদ্রাসার সুপার পদে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিলক্ষিত হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় কারসাজি করে পরিকল্পিতভাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেট করা হয়েছে। তার প্রমাণ হিসেবে উপজেলা অনলাইন এমপিও-সংক্রান্ত সফটওয়্যারে সার্চিং দিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাটির অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ওই মাদ্রাসার তখনকার বৈধ সভাপতি হাজি মো. বশির আহমেদ বলেন, তাঁর সভাপতিত্বকালীন সময়ে মানছুর আহমেদ নামে কোনো ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ-সংক্রান্ত কাজে স্বাক্ষর দেননি। অথচ নিয়োগ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় স্থানে সভাপতির স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে’। অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মামলার বাদী মো. বশির আহমেদ বলেন, ‘আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিলেও ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। তারা নিয়মিত তাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

মাদ্রাসার সুপার মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ বিষয় আমরাও শিগগির আইনি লড়াই করব।’

মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোনো কার্যক্রম করছি না। ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আমরাও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আদালত থেকে এ ধরনের কোনো আদেশের কপি আসেনি। তবে বাদীপক্ষ থেকে আদালতের আদেশের কপি দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে কি না তা ওই মাদ্রাসায় খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখছেন তাঁরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুবককে আটক করা নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি দাবি

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত