সম্পাদকীয়
রাজনীতির নানা ভেলকিবাজি চলছে দেশে। সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’! লাশ পড়লে আন্দোলন চাঙা হয়ে ওঠে। এখন কে যে কার লাশ ফেলে রাজনীতির মাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে, তা নিয়েও হয়তো ভাবছে কেউ কেউ। হরতাল-অবরোধের দিন বুঝি ফিরে এসেছে আবার। আবার বাসে বাসে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন স্বার্থান্ধ রাজনীতির খেলোয়াড়েরা। যাঁদের আস্থা আছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি, তাঁদের বিশ্বাস মুখ থুবড়ে পড়বে অপরাজনীতির গোলকধাঁধায় পড়ে।
দেশের এ অবস্থায় একটু অন্যদিকে চোখ ফেরাই। ‘রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়ালসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করছে একদল কিশোর।’ এ রকম একটি বাক্যের দেখা মিলল আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায়। শুনেই মন ভরে গেল। আমাদের কিশোরেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে! এলাকায় কিছু একটা ঘটলেই তারা যে কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে! বড় ভাইদের কাছ থেকে আর মাস্তানি শিখতে হয় না তাদের। নিজেরাই মাস্তানি করতে পারে নিজেদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে। আর এদেরই যদি কেউ হঠাৎ করে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তাহলেই তো তা হয়ে উঠবে সোনায় সোহাগা!
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার কাছাকাছি এক জায়গায় কিশোরেরা এই মচ্ছব বসিয়েছিল মাস চারেক আগে। এত দিন তা গোপন ছিল। কেন গোপন ছিল? কারণ, এত দিন কারও স্বার্থে আঘাত লাগেনি। যে মুহূর্তে একজন কিশোরকে পেটাল সতীর্থ কিশোর গ্যাং, তখনই দলাদলিতে ফাঁস হলো অস্ত্র হাতে ‘যোদ্ধা’দের ছবি।
কিশোরেরা বুঝি এভাবেই বেঁচে থাকার প্রেরণা পাচ্ছে আজকাল! আমরা যাকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বলে মনে করি, সেগুলো বুঝি ধীরে ধীরে সেকেলে হয়ে যাচ্ছে। সম্পর্কের বন্ধনগুলো আলগা হয়ে যাওয়ায় আবেগ-অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে। আর তারই ফাঁক দিয়ে ঢুকে মনের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে নৃশংসতা। এ কথা সত্য, নেট-জগতে এমন অনেক কিছুই দৃশ্যমান, যা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। মহাশূন্যের মতো বিশাল এই জগতে ঢোকার পর নানা ধরনের নৃশংসতা দেখতে দেখতে মনটাও পাষাণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটাই সব নয়। আমরা ভুলে যাচ্ছি, মানুষের সৎগুণ, মনের ইতিবাচক প্রবণতাগুলো তৈরি হয় পারিবারিক পরিবেশে, শিক্ষালয়ে, পারিপার্শ্বিকতায়। সেই জায়গাগুলো ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর তাই একদল কিশোর মাঠে খেলাধুলা না করে, ঘরে পড়াশোনা না করে অস্ত্র হাতে স্বয়ংসম্পন্ন হতে চাইছে!
সমাজ বলে যে একটা ব্যাপার ছিল, সেটা তাহলে কোথায় গিয়ে মুখ লুকাল? পাড়ায় যে অভিভাবকেরা থাকতেন, তাঁরা হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন কোথায়? স্কুলে যে শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিক পাঠ নেওয়া যেত, কোথায় তিনি হারালেন?
এ এক অসীম শূন্যতা। অস্ত্র হাতে নাচানাচি বন্ধ করতে হলে হারিয়ে যাওয়া নীতিবোধটা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নইলে পুরো দেশেই যদি অস্ত্র হাতে কিশোরেরা নাচতে থাকে, তাহলে দেশটার কী হবে?
রাজনীতির নানা ভেলকিবাজি চলছে দেশে। সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’! লাশ পড়লে আন্দোলন চাঙা হয়ে ওঠে। এখন কে যে কার লাশ ফেলে রাজনীতির মাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে, তা নিয়েও হয়তো ভাবছে কেউ কেউ। হরতাল-অবরোধের দিন বুঝি ফিরে এসেছে আবার। আবার বাসে বাসে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন স্বার্থান্ধ রাজনীতির খেলোয়াড়েরা। যাঁদের আস্থা আছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি, তাঁদের বিশ্বাস মুখ থুবড়ে পড়বে অপরাজনীতির গোলকধাঁধায় পড়ে।
দেশের এ অবস্থায় একটু অন্যদিকে চোখ ফেরাই। ‘রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়ালসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করছে একদল কিশোর।’ এ রকম একটি বাক্যের দেখা মিলল আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায়। শুনেই মন ভরে গেল। আমাদের কিশোরেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে! এলাকায় কিছু একটা ঘটলেই তারা যে কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে! বড় ভাইদের কাছ থেকে আর মাস্তানি শিখতে হয় না তাদের। নিজেরাই মাস্তানি করতে পারে নিজেদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে। আর এদেরই যদি কেউ হঠাৎ করে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তাহলেই তো তা হয়ে উঠবে সোনায় সোহাগা!
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার কাছাকাছি এক জায়গায় কিশোরেরা এই মচ্ছব বসিয়েছিল মাস চারেক আগে। এত দিন তা গোপন ছিল। কেন গোপন ছিল? কারণ, এত দিন কারও স্বার্থে আঘাত লাগেনি। যে মুহূর্তে একজন কিশোরকে পেটাল সতীর্থ কিশোর গ্যাং, তখনই দলাদলিতে ফাঁস হলো অস্ত্র হাতে ‘যোদ্ধা’দের ছবি।
কিশোরেরা বুঝি এভাবেই বেঁচে থাকার প্রেরণা পাচ্ছে আজকাল! আমরা যাকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বলে মনে করি, সেগুলো বুঝি ধীরে ধীরে সেকেলে হয়ে যাচ্ছে। সম্পর্কের বন্ধনগুলো আলগা হয়ে যাওয়ায় আবেগ-অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে। আর তারই ফাঁক দিয়ে ঢুকে মনের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে নৃশংসতা। এ কথা সত্য, নেট-জগতে এমন অনেক কিছুই দৃশ্যমান, যা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। মহাশূন্যের মতো বিশাল এই জগতে ঢোকার পর নানা ধরনের নৃশংসতা দেখতে দেখতে মনটাও পাষাণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটাই সব নয়। আমরা ভুলে যাচ্ছি, মানুষের সৎগুণ, মনের ইতিবাচক প্রবণতাগুলো তৈরি হয় পারিবারিক পরিবেশে, শিক্ষালয়ে, পারিপার্শ্বিকতায়। সেই জায়গাগুলো ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর তাই একদল কিশোর মাঠে খেলাধুলা না করে, ঘরে পড়াশোনা না করে অস্ত্র হাতে স্বয়ংসম্পন্ন হতে চাইছে!
সমাজ বলে যে একটা ব্যাপার ছিল, সেটা তাহলে কোথায় গিয়ে মুখ লুকাল? পাড়ায় যে অভিভাবকেরা থাকতেন, তাঁরা হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন কোথায়? স্কুলে যে শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিক পাঠ নেওয়া যেত, কোথায় তিনি হারালেন?
এ এক অসীম শূন্যতা। অস্ত্র হাতে নাচানাচি বন্ধ করতে হলে হারিয়ে যাওয়া নীতিবোধটা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নইলে পুরো দেশেই যদি অস্ত্র হাতে কিশোরেরা নাচতে থাকে, তাহলে দেশটার কী হবে?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫