মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করতে হয় ডিঙিতে। মাঝেমধ্যে নৌকা থেকে পড়ে যায় দু-একজন শিক্ষার্থী। তখন পোশাক-আশাকের
সঙ্গে ভিজে যায় বই-খাতাও।
বলা হচ্ছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কথা। তুলসীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে ১৯৭০ সালে সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়টিতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পড়তে আসে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ডিঙিতে বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করে।
জানা গেছে, নদীটির গভীরতা সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৭২ ফুট। সড়কপথে নদীর একপাশ থেকে আরেক পাশে যেতে ঘুরতে হয় প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ। সেই পথও বেহাল। তাই সেই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। কিন্তু ডিঙিতে যাওয়া যায় পাঁচ মিনিটেই। তাই সময় আর দূরত্ব কমাতে, চরম ঝুঁকি নিয়ে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা।
একসময় এ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করত। কিন্তু যাতায়াতের অসুবিধার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন শিক্ষার্থী আছে ১৬০ জন। একটি সেতুর অভাবে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আশপাশের আমদই ও পুরানাপৈল ইউনিয়নের ৮ গ্রামের হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হোসেন বলে, ‘আমার বাড়ি তুলসীগঙ্গা নদীর ওই পাড়ে গোবিন্দপুর গ্রামে। বর্ষাকালে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি আমরা। বৃষ্টির সময় নদীর পাড় পিচ্ছিল থাকে। তাই নৌকায় ওঠানামা করতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে যাই। কখনোবা নৌকা থেকেও পড়ে যায় কেউ কেউ। তখন বই-খাতাও নদীর পানিতে পড়ে ভিজে যায়।’
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’
আরেক অভিভাবক মোহসিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেকোনো সময় নদীতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে। তাই আতঙ্কে ও দুশ্চিন্তায় থাকি। অথচ এখানে একটি সেতু থাকলে, আমাদের কোনো কষ্টই থাকত না।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘এই স্কুলের বড় সমস্যা নদীপথ। আমি ২০১৫ সালে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। তখন শিক্ষার্থী ছিল ২১২ জন। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ; তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষা এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যালয়ের অদূরে তুলসীগঙ্গা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করা আবশ্যক বলে মনে করি।’
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়-সংলগ্ন নদীর ওপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে তাগাদা পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু বলেন, ‘যেকোনো সিস্টেমে আগামী অর্থবছরের মধ্যেই ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করব।’
নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করতে হয় ডিঙিতে। মাঝেমধ্যে নৌকা থেকে পড়ে যায় দু-একজন শিক্ষার্থী। তখন পোশাক-আশাকের
সঙ্গে ভিজে যায় বই-খাতাও।
বলা হচ্ছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কথা। তুলসীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে ১৯৭০ সালে সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়টিতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পড়তে আসে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ডিঙিতে বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করে।
জানা গেছে, নদীটির গভীরতা সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৭২ ফুট। সড়কপথে নদীর একপাশ থেকে আরেক পাশে যেতে ঘুরতে হয় প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ। সেই পথও বেহাল। তাই সেই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। কিন্তু ডিঙিতে যাওয়া যায় পাঁচ মিনিটেই। তাই সময় আর দূরত্ব কমাতে, চরম ঝুঁকি নিয়ে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা।
একসময় এ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করত। কিন্তু যাতায়াতের অসুবিধার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন শিক্ষার্থী আছে ১৬০ জন। একটি সেতুর অভাবে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আশপাশের আমদই ও পুরানাপৈল ইউনিয়নের ৮ গ্রামের হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হোসেন বলে, ‘আমার বাড়ি তুলসীগঙ্গা নদীর ওই পাড়ে গোবিন্দপুর গ্রামে। বর্ষাকালে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি আমরা। বৃষ্টির সময় নদীর পাড় পিচ্ছিল থাকে। তাই নৌকায় ওঠানামা করতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে যাই। কখনোবা নৌকা থেকেও পড়ে যায় কেউ কেউ। তখন বই-খাতাও নদীর পানিতে পড়ে ভিজে যায়।’
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’
আরেক অভিভাবক মোহসিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেকোনো সময় নদীতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে। তাই আতঙ্কে ও দুশ্চিন্তায় থাকি। অথচ এখানে একটি সেতু থাকলে, আমাদের কোনো কষ্টই থাকত না।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘এই স্কুলের বড় সমস্যা নদীপথ। আমি ২০১৫ সালে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। তখন শিক্ষার্থী ছিল ২১২ জন। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ; তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষা এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যালয়ের অদূরে তুলসীগঙ্গা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করা আবশ্যক বলে মনে করি।’
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়-সংলগ্ন নদীর ওপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে তাগাদা পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু বলেন, ‘যেকোনো সিস্টেমে আগামী অর্থবছরের মধ্যেই ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪