Ajker Patrika

মৌলভীবাজারে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বানর

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ১৯: ৫৮
মৌলভীবাজারে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বানর

খাদ্যের সংকটে বন ছেড়ে বানরের দল মৌলভীবাজার শহরের বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে শহরের কোনো কোনো বাসিন্দা অতিষ্ঠ হলেও অনেকে আবার মমতার সঙ্গে খাবার দিচ্ছেন। এদিকে বানর বন ছেড়ে লোকালয়ে আসার ঘটনায় পরিবেশকর্মীরা বনের খাদ্যসংকটকে দায়ী করছেন।

ছাদবাগানের ফুলের টব ভেঙে যাওয়া, গাছের কাঁচা-পাকা ফল, সবজি লাপাত্তা—এসব যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এতে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে বানরের দলকে তাড়িয়ে দিলেও আবার চলে আসে। আবার কেউ কেউ ডেকে খাবারও দেন। অনেকের রান্নাঘরের সামনে, ছাদে, কার্নিশে খাদ্যের জন্য ওত পেতে থাকতে দেখা যায় বানরের দলকে।

মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় প্রায়ই দেখা যায় দুই থেকে তিনটি বানরের উপদ্রব। একইভাবে শহরের শান্তিবাগ সৈয়ারপুর, ঘোষপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় বানরের দল হানা দিচ্ছে। শহরের বনশ্রী এলাকায় প্রায়ই আট থেকে দশটি বানর হানা দিয়ে ফসল, ফলাদি নষ্ট করছে।

চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, বানর এসে ফসল খেয়ে নষ্ট করে চলে যায়।

শহরের বাসিন্দা জাবেদ আহমেদ বলেন, বানর দেখে ছোট বাচ্চারা আনন্দিত হয়। বানরের দল দেখে মনে হয় তারা অনেক ক্ষুধার্ত। যেকোনো খাবার দিলে তারা খেয়ে ফেলে।

এক সপ্তাহ ধরে দুপুরে নিয়ম করে বাসার ছাদে ভাত রাখেন সায়মা আক্তার। তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীরা তো খাবারের জন্যই এখানে আসে। ওদের প্রতি মায়া জেগে গেছে। তাই খেতে দিই।’

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাবরিনা জানায়, ‘দুটো বানর প্রায়ই আমাদের ছাদে আসে, আমি তাদের দূর থেকে কলা, বিস্কুট, পাউরুটি খেতে দিই।’

শহরের সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, ‘আমার ছাদবাগানের পাকা পেঁপে বানর খেয়ে যায়। তবে ব্যাপারটা ভালোই লাগে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার-এর সমন্বয়ক আসম সালেহ সোহেল বলেন, বনে খাদ্যসংকট। তাই খাদ্যের সন্ধানে বানরের দল শহরের বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে এরা বন্য পরিবেশ ভুলে গেলে পুনরায় বনে ফেরানো কঠিন হবে। বন বিভাগের জরুরি ভিত্তিতে ওদের বনে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।

শহরের বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা পরিবেশকর্মী সোনিয়া মান্নান বলেন, কখনো ৩-৪টা, কখনো ৮-১০টা বানর আসে। এরা ফল-সবজি নিয়ে যায়। তবে এদের বাঁচাতে হবে, খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। পরিকল্পিতভাবে বনে বানরদের জন্য খাদ্যের সংস্থান জরুরি।

লাউয়াছড়া বনের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, বনে সব সময় খাদ্য থাকে না। এটা মৌসুমি বলা যায়। এই সময়ে বট এবং ডুমুর ছাড়া অন্য খাদ্য কম। তবে বন বিভাগ পরিকল্পিতভাবেই বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংস্থানের জন্য বনে ব্যাপক হারে ফলদ গাছ রোপণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত