Ajker Patrika

জামালপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে সড়ক

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৬
জামালপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে সড়ক

জামালপুর শহরে বেড়েছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা। এতে তীব্র যানজটে নাকাল শহরবাসী। শহরের গেইটপাড় থেকে বাজার পর্যন্ত সকালে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। সেখানে র্দীঘ সময় যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ।

জামালপুর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে পাথালিয়া নির্বাচন অফিস পর্যন্ত তিন কিলোমিটার শহরে আসা যাওয়ার প্রধান সড়ক। সকাল ৯টা থেকে এই সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচল শুরু হয়।

অফিস, আদালত, হাসপাতালে এই প্রধান সড়ক দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হয়। এই সড়কে তীব্র যানজটে দুর্ভোগের শিকার হন মানুষ। এ জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র চলাচলকে দায়ী করছেন শহরবাসী। পৌর মেয়র বলেছেন যানজট নিরসনে তাঁরা কাজ করছেন।

শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা নিয়ে জামালপুর পৌর শহর। গতকাল শনিবার শহর ঘুরে দেখা যায়, পুরো শহরের প্রধান সড়কের কিছু দূর পরপর তীব্র যানজট। শহরের প্রায় পুরো সড়ক অটোরিকশার দখলে। শহরের তমালতলা, কথাকলি মার্কেট এলাকা, শহীদ হারুন সড়ক, দয়াময়ী মোড়, রেলগেট পাড়, শফি মিয়ার বাজার মোড়, পুরোনো পৌরসভা গেট, বুড়ির দোকান মোড়, সকাল বাজার এলাকা, বড় মসজিদ এলাকা, ঢাকাইপট্টি এলাকা, ফৌজদারি মোড়, জজ কোর্ট এলাকা ও জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় অটোরিকশার ভিড় চোখে পড়ান মতো। কিছুক্ষণ পরপর ধীরে ধীরে অটোরিকশা চলাচল করছে।

জানা গেছে, জামালপুর শহরে ২০১০ সালে অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে শহরে অটোরিকশার সংখ্যা ১০-১২ হাজার। শহরের যানজট নিরসনে ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত হয়, পৌর শহরে নিবন্ধন করা তিন হাজার অটোরিকশা চলাচল করবে। সেই লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ তিন হাজার অটোরিকশাকে নিবন্ধনও দিয়েছে। তবে নিবন্ধন ছাড়া অটোরিকশা চলছে আরও প্রায় ৮-৯ হাজার। বর্তমানে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার অটোরিকশা চলছে শহরে।

শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, শহরে চলাচল করতে পারি না। অসুস্থ কোনো রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যায় না। অনেককে রোগী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়। এই শহরের মানুষের নাকাল অবস্থা অটোরিকশার কারণে। পুরো সড়ক দখলে নিয়েছে অটোরিকশা। শহরের সড়কে লম্বা সারি শুধু অটোরিকশার। অন্য কোনো যানবাহন নেই। এতে চরম দুর্ভোগে শহরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী সুলতান বলেন, বছরের পর বছর ধরে এই যানজটে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ইজিবাইক কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। শহর থেকে যদি বাসস্ট্যান্ড বা দিকপাইত এলাকায় যেতে হয়, দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হয়। কারণ, এই সড়কে এলে এক ঘণ্টা সময় লাগে যানজট পাড়ি দিতে।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জামালপুর শহরকে যানজট মুক্ত করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অনেক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কেউ অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে না। লাগামহীন অটোরিকশার কারণে শহরবাসীর ভোগান্তি এখন চরমে।

জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেছেন, পৌরবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম শহরের যানজট নিরসন করব। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চলতি বছর শহরের বাইরের কোনো অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। কাজ শুরু করেছি, পরিকল্পনা করেই শহরের যানজট নিরসন করব। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অটোরিকশা চালকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এবার অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে পৌর কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত