Ajker Patrika

প্রতিমায় রঙের শেষ প্রলেপ

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৫৯
প্রতিমায় রঙের শেষ প্রলেপ

আর কয়েক দিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর কারিগররা। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিমা সরবরাহ করতে দিনরাত রঙের প্রলেপ ও অঙ্গ সজ্জা করা হচ্ছে জেলার প্রতিমা তৈরির স্থানগুলোতে। এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় শারদীয় উৎসবকে নির্বিঘ্নে করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জেলা পুলিশ ও পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর নরসিংদী জেলার ৬ উপজেলায় ৩৫৬ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নরসিংদী সদরে ৯৯ টি, মনোহরদীতে ৫১টি, রায়পুরায় ৬৭টি, বেলাবতে ২৩টি, পলাশে ৪৬টি ও শিবপুরে ৭০টি পূজা মণ্ডপে পূজা হবে।

নরসিংদীর পালপাড়ায় গেলে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে এখন চলছে প্রতিমাগুলোতে রঙের প্রলেপ ও অঙ্গ সজ্জার কাজ। শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে প্রতিমাগুলো। রং তুলির আঁচড়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে দুর্গাকে সাজাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। ষষ্ঠীতে বোধনের আগেই দেবী দুর্গাকে পূজা মণ্ডপে পৌঁছে দিতে কাজ চলছে দিন-রাত।

নরসিংদীর তুর্য্য প্রতিমা শিল্পালয়ের মালিক দুলাল পাল বলেন, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে তেমন লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কারণ ক্রেতারা আগের দামেই প্রতিমা তৈরি করে নিতে চাচ্ছেন।’

বিশ্বকর্মা প্রতিমা শিল্পালয়ের সঞ্জিত পাল বলেন, ‘প্রতিমার তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে রঙের প্রলেপ ও অঙ্গ সজ্জার কাজ। নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দিতে হবে প্রতিমা। এই মুহূর্তে দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না। ৩০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় আমার প্রতিমা বিক্রি হয়েছে। বাঁশ, কাঠ, খড়, তারকাঁটা, পাট, মাটি ও রঙের দাম বৃদ্ধির তুলনায় প্রতিমার দাম পাচ্ছি না। কারিগরের বেতন ও কারখানার ভাড়া বেশি হওয়ায় লোকসানের মুখে আছি আমরা।’

নরসিংদী জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সদস্যসচিব সুব্রত কুমার দাস বলেন, নরসিংদীতে গতবারের তুলনায় এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী নরসিংদীর সকল মণ্ডপের সভাপতিকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরিধান করে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর বলেন, শারদীয় উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর থাকবে পুলিশ। এ ছাড়া চেকপোস্টসহ র‌্যাব, আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করবেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি তদারকি করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত