Ajker Patrika

স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ২১ আ.লীগ-বিএনপির প্রার্থী

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১১
স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ২১ আ.লীগ-বিএনপির প্রার্থী

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইতিমধ্যে বিনা ভোটে তিনজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পটিয়ার বাকি ১৪ ইউপিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ১৪ ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ১৪ জন এবং বিএনপির ৭ জন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের যাঁরা নির্বাচন করছেন তাঁরা হলেন—আশিয়ায় ছৈয়দ মাঈনুল হক রাশেদ ও বেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ছনহরায় কাজী আবু জাফর, জিরিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভোলা ও আবুল কালাম আজাদ বাবুল। কুসুমপুরায় জাকারিয়া ডালিম ও নুর রশিদ চৌধুরী এজাজ। কোলাগাঁও ইউপিতে মাহবুবুল হক চৌধুরী ও কাসেম রাসেল। জঙ্গলখাইনে দিদারুল আলম ও সাহাদাত হোসেন সবুজ। কেলিশহরে নিখিল দে। ধলঘাটে শফিউল আলম বাদশা। হাইদগাঁও ইউপিতে বি এম জসিম।

এদিকে ৭ ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিএনপির যেসব নেতা নির্বাচন করছেন তাঁরা হলেন হাবিলাসদ্বীপ ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, কচুয়াই ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু, খরনায় সাবেক চেয়ারম্যান মফজল আহম্মদ চৌধুরী, কাশিয়াইশে মোহাম্মদ কাইছ ও হাইদগাঁও ইউপিতে নাসির উদ্দীন, ভাটিখাইনে আমিনুল হক ও ছনহরায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী। তাঁরা সবাই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।

কোলাগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ কোলাগাঁও ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। গত পাঁচ বছর বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীর যোগাযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড যদি তৃণমূলের মতামত গ্রহণ করত, তাহলে আমাকে নমিনেশন দেওয়া হতো। আমি নৌকার বিরুদ্ধে নয়, আমি একজন জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছি।’

কচুয়া ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমি টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এবারও আমি এলাকার মানুষের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে না। আমি যতটুকু জেনেছি, যে কয়েকজন বিএনপির নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকায় তাঁদের গ্রহণযোগ্যতার কারণে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বলে শুনেছি। তবে আমাদের কোনো নেতা তাঁদের পক্ষে মাঠে নেমে ভোট চাইবেন না।’

খোরশেদ আলম আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। তাই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সেলিম নবী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাঁরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন, তাঁদের অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের এবং তাঁদের মদদপুষ্ট।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যাঁরা নির্বাচন করছেন, তাঁদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে বহিষ্কার ও চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ইউনিয়নগুলোতে গিয়ে বিদ্রোহীদের ভোট না দিতে বলছি।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এলাকায় বিভেদ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

১৫ বছর যাদের জন্য লড়াই করলাম, তারা এখন আমাকে ধাক্কা দেয়: রুমিন ফারহানা

রাজশাহীতে বরখাস্ত হওয়া এসআইকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত