Ajker Patrika

দখল হচ্ছে খাল-নদী উদ্ধারে নেই তৎপরতা

আলী আকবর সাজু, ভালুকা
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ২২: ০১
দখল হচ্ছে খাল-নদী উদ্ধারে নেই তৎপরতা

ভালুকায় একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খাল, বিল ও জলাশয়। উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০টি খালের মধ্যে অধিকাংশই দখলে চলে গেছে। প্রকাশ্যে মাটি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও উদ্ধারে নেই কোনো পদক্ষেপ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধোপাজান খাল ও বেইত্যাগুনি খাল প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে মাটি ভরাটের পর স্থাপনা নির্মাণ করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ দখলের ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্ষাকালে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশও হুমকির মুখে রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কাঠালী গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ধোপাজান খাল। এর বিভিন্ন অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা মাটি ভরাট করে খালের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে। এতে উজানে জলাবদ্ধতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে ভালুকা-মল্লিকবাড়ি সড়কের বেইত্যাগুনি খালটির দুইপাড় দখল করে নেন প্রভাবশালীরা। উপজেলার হবিরবাড়ি ও পাড়াঁগাও এলাকার লাউতি খালের অনেক অংশ দখল হয়ে গেছে। মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করাও হয়েছে। ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়া খালটিও দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা।

অভিযোগ উঠেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুপাশে একের পর এক জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাকের ডগায়। নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দখল ও ভরাটের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন করলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ক্লিন আপ ভালুকার সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০টি খাল রয়েছে। এসব খাল দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। ধীরে ধীরে খালগুলো দখল হওয়ায় নালা হয়ে গেছে। খাল উদ্ধারে এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্যসচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ‘নদী ও খালের অধিকাংশই নালায় পরিণত হয়েছে। এসব রক্ষায় মানববন্ধন করা হয়েছে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর নদী, খাল ও জলাশয় উদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপ নেবে।’

স্থানীয় আর্টি কম্পোজিট ডায়িং লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার আল আমীন বলেন, ‘খালের নিচে কালভার্ট স্থাপন করে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। উজানের পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা হবে না।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘খাল দখলের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। দখলের সত্যতা পাওয়া গেলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত