কাজী ফারহান হোসেন পূর্ব
শিশুরা তো আর লেখাপড়া জানে না! ওদের কাছ থেকে আবার কী শিখব? এমন চিন্তা করলে বড্ড ভুল করবেন! শুনে হয়তো অবাক হবেন যে শিশুদের কর্মকাণ্ডের দিকে একটু মনোযোগী হলে আপনি নিজে থেকেই বের করে ফেলতে পারবেন বড় বড় শিক্ষা, যা আপনি কোনো বই থেকে পাবেন না। শিশুদের কাছ থেকে বিনা খরচে শেখা এমন কিছু মূল্যবান বিষয় নিয়েই থাকছে আজকের আলোচনা।
শিশুরা প্রচুর প্রশ্ন করে
শিশুরা সর্বদাই কৌতূহলী। বয়স এবং পারিপার্শ্বিকতার জাঁতাকলে আমাদের কাছে দৈনন্দিন বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শিশুরা কিন্তু সেগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। আকাশ কেন নীল, পানি কেন স্বাদহীন, বর্ণহীন, ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঁকি দেয় তাদের মনে। অথচ আমরা বড়রা এক প্রকার মেনেই নিয়েছি যে পানি মানেই বর্ণহীন, স্বাদহীন—এটাই যেন নিয়ম! দ্য সান থেকে জানা যায়, কৌতূহলী শিশুরা দিনে প্রায় ৭৩টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। শৈশবের এই প্রশ্ন এবং তার যৌক্তিক উত্তরই গড়ে দেয় তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে যে শিশুদের প্রশ্ন করায় নিরুৎসাহিত করা হয় এবং তাদের অবাধ অনুসন্ধানে বাধা দেওয়া হয়, তারা আটকে পড়ে গৎবাঁধা চিন্তাধারায়। বাক্সের বাইরের চিন্তা তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই আমাদেরও চাই শিশুদের মতো প্রশ্ন করা এবং সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরা।
বারবার আছাড় খেলেও দমার পাত্র নয়
শিশুদের বেড়ে ওঠার এক অপূর্ব দৃশ্য হচ্ছে তাদের হাঁটা শেখা। শেখার সময় বারবার চেষ্টা করা, হোঁচট খাওয়া এবং কোনো রকম দুঃখ-গ্লানি ছাড়াই আবার উঠে যতক্ষণ হাঁটা শেখা না হয়, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আর্লি ইন্টারভেনশন স্ট্র্যাটেজিস ফর সাকসেস থেকে জানা যায়, ১২ থেকে ১৯ মাস বয়সী ১৩০ জন হাঁটতে শেখা বাচ্চার ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে তারা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭ বার হোঁচট খায়। আর একেবারে নতুন হাঁটা শুরু করা বাচ্চারা ঘণ্টায় হোঁচট খায় ৬৯ বার! এতবার আছাড় খেয়েও তারা যেখানে ক্লান্ত নয়, সেখানে আমরা জীবনে দুই-একবার প্রত্যাখ্যাত হয়েই দুমড়ে-মুচড়ে যাই। ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং একটি বই প্রকাশের জন্য ১২ বার প্রত্যাখ্যাত হন। সেই বিখ্যাত বইটি হলো হ্যারি পটার। তার মানে যেকোনো কাজে সফল না হলে হাল ছাড়া যাবে না। শিশুর মতোই বারবার উঠে দাঁড়াতে হবে।
শিশুরা আধো আধো কথা বলায় লজ্জা পায় না
কাউকে ইংরেজিতে কথা বলতে বললে সে কী লজ্জা আর জড়তা! আরেকজন কী ভাববে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকে কখনো আর কথাই বলে না। অথচ একটু সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। ইংরেজি শেখায় বা দ্বিতীয় ভাষায় কথা বলার সময় বড়রা যেমন লজ্জা বা ভয় পায়, শিশুরা কিন্তু তাদের মাতৃভাষা শেখার সময় মোটেও তা করে না। এ জন্যই শিশুরা এত সহজে ব্যাকরণ বই, ভাষা শিক্ষা ভিডিও ইত্যাদি না দেখে অনুকরণ করে বলেই দ্রুততম সময়ে ভাষা শিখে ফেলে। তাই ভালো কাজে লজ্জা কিংবা ভয় নয়। শিশুর মতোই আমাদের আধো আধো করে হলেও কাজ শুরু করতে হবে।
শিশুরা কল্পনা করার সময় সম্ভব-অসম্ভবের তোয়াক্কা করে না
বড়রা কিছু বানানোর কথা ভাবতে গেলে কী কী লাগবে, খরচ কত পড়বে, আগে কখনো সেটা বানানো সম্ভব হয়েছিল কি না, তার নিজের যোগ্যতা আছে কি না ইত্যাদি নানা ব্যাপার ভাবতে থাকে। বড়রা তাদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে এতই ভাবে যে কাজটাই আর শুরু করে না, কিংবা শুরু করতে ভয় পায়। অন্যদিকে শিশুরা সরাসরি বাস্তবতা না ভেবেই কঠিন কোনো সমস্যার রঙিন এবং মজার মজার কার্যকরী সমাধান বের করে ফেলে। আইনস্টাইন বলেছেন, ‘কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি এবং বুঝি তাতেই সীমাবদ্ধ, অন্যদিকে কল্পনা সমগ্র বিশ্বের যা যা বোঝা এবং জানা দরকার, তাকেও আবর্তন করে।’ আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য থট এক্সপেরিমেন্ট বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। আইনস্টাইন এবং অন্য সব বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবকেরা যদি তাঁদের কল্পনাশক্তিকে সুযোগ না দিয়ে শুধু সীমাবদ্ধতার কথা ভেবেই দমে যেতেন, তবে এত সুন্দর সুন্দর আবিষ্কার সম্ভব হতো না। তাঁদের ভাবা আপাত-অসম্ভব সব চিন্তা বা সমাধান কখনোই সফলতার মুখ দেখত না। তাই আমাদের দিনের কিছুটা সময় হলেও শিশুদের মতো কল্পনার রাজ্যে ডুব দিতে হবে।
শিশুরা তো আর লেখাপড়া জানে না! ওদের কাছ থেকে আবার কী শিখব? এমন চিন্তা করলে বড্ড ভুল করবেন! শুনে হয়তো অবাক হবেন যে শিশুদের কর্মকাণ্ডের দিকে একটু মনোযোগী হলে আপনি নিজে থেকেই বের করে ফেলতে পারবেন বড় বড় শিক্ষা, যা আপনি কোনো বই থেকে পাবেন না। শিশুদের কাছ থেকে বিনা খরচে শেখা এমন কিছু মূল্যবান বিষয় নিয়েই থাকছে আজকের আলোচনা।
শিশুরা প্রচুর প্রশ্ন করে
শিশুরা সর্বদাই কৌতূহলী। বয়স এবং পারিপার্শ্বিকতার জাঁতাকলে আমাদের কাছে দৈনন্দিন বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শিশুরা কিন্তু সেগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। আকাশ কেন নীল, পানি কেন স্বাদহীন, বর্ণহীন, ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঁকি দেয় তাদের মনে। অথচ আমরা বড়রা এক প্রকার মেনেই নিয়েছি যে পানি মানেই বর্ণহীন, স্বাদহীন—এটাই যেন নিয়ম! দ্য সান থেকে জানা যায়, কৌতূহলী শিশুরা দিনে প্রায় ৭৩টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। শৈশবের এই প্রশ্ন এবং তার যৌক্তিক উত্তরই গড়ে দেয় তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে যে শিশুদের প্রশ্ন করায় নিরুৎসাহিত করা হয় এবং তাদের অবাধ অনুসন্ধানে বাধা দেওয়া হয়, তারা আটকে পড়ে গৎবাঁধা চিন্তাধারায়। বাক্সের বাইরের চিন্তা তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই আমাদেরও চাই শিশুদের মতো প্রশ্ন করা এবং সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরা।
বারবার আছাড় খেলেও দমার পাত্র নয়
শিশুদের বেড়ে ওঠার এক অপূর্ব দৃশ্য হচ্ছে তাদের হাঁটা শেখা। শেখার সময় বারবার চেষ্টা করা, হোঁচট খাওয়া এবং কোনো রকম দুঃখ-গ্লানি ছাড়াই আবার উঠে যতক্ষণ হাঁটা শেখা না হয়, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আর্লি ইন্টারভেনশন স্ট্র্যাটেজিস ফর সাকসেস থেকে জানা যায়, ১২ থেকে ১৯ মাস বয়সী ১৩০ জন হাঁটতে শেখা বাচ্চার ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে তারা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭ বার হোঁচট খায়। আর একেবারে নতুন হাঁটা শুরু করা বাচ্চারা ঘণ্টায় হোঁচট খায় ৬৯ বার! এতবার আছাড় খেয়েও তারা যেখানে ক্লান্ত নয়, সেখানে আমরা জীবনে দুই-একবার প্রত্যাখ্যাত হয়েই দুমড়ে-মুচড়ে যাই। ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং একটি বই প্রকাশের জন্য ১২ বার প্রত্যাখ্যাত হন। সেই বিখ্যাত বইটি হলো হ্যারি পটার। তার মানে যেকোনো কাজে সফল না হলে হাল ছাড়া যাবে না। শিশুর মতোই বারবার উঠে দাঁড়াতে হবে।
শিশুরা আধো আধো কথা বলায় লজ্জা পায় না
কাউকে ইংরেজিতে কথা বলতে বললে সে কী লজ্জা আর জড়তা! আরেকজন কী ভাববে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকে কখনো আর কথাই বলে না। অথচ একটু সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। ইংরেজি শেখায় বা দ্বিতীয় ভাষায় কথা বলার সময় বড়রা যেমন লজ্জা বা ভয় পায়, শিশুরা কিন্তু তাদের মাতৃভাষা শেখার সময় মোটেও তা করে না। এ জন্যই শিশুরা এত সহজে ব্যাকরণ বই, ভাষা শিক্ষা ভিডিও ইত্যাদি না দেখে অনুকরণ করে বলেই দ্রুততম সময়ে ভাষা শিখে ফেলে। তাই ভালো কাজে লজ্জা কিংবা ভয় নয়। শিশুর মতোই আমাদের আধো আধো করে হলেও কাজ শুরু করতে হবে।
শিশুরা কল্পনা করার সময় সম্ভব-অসম্ভবের তোয়াক্কা করে না
বড়রা কিছু বানানোর কথা ভাবতে গেলে কী কী লাগবে, খরচ কত পড়বে, আগে কখনো সেটা বানানো সম্ভব হয়েছিল কি না, তার নিজের যোগ্যতা আছে কি না ইত্যাদি নানা ব্যাপার ভাবতে থাকে। বড়রা তাদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে এতই ভাবে যে কাজটাই আর শুরু করে না, কিংবা শুরু করতে ভয় পায়। অন্যদিকে শিশুরা সরাসরি বাস্তবতা না ভেবেই কঠিন কোনো সমস্যার রঙিন এবং মজার মজার কার্যকরী সমাধান বের করে ফেলে। আইনস্টাইন বলেছেন, ‘কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি এবং বুঝি তাতেই সীমাবদ্ধ, অন্যদিকে কল্পনা সমগ্র বিশ্বের যা যা বোঝা এবং জানা দরকার, তাকেও আবর্তন করে।’ আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য থট এক্সপেরিমেন্ট বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। আইনস্টাইন এবং অন্য সব বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবকেরা যদি তাঁদের কল্পনাশক্তিকে সুযোগ না দিয়ে শুধু সীমাবদ্ধতার কথা ভেবেই দমে যেতেন, তবে এত সুন্দর সুন্দর আবিষ্কার সম্ভব হতো না। তাঁদের ভাবা আপাত-অসম্ভব সব চিন্তা বা সমাধান কখনোই সফলতার মুখ দেখত না। তাই আমাদের দিনের কিছুটা সময় হলেও শিশুদের মতো কল্পনার রাজ্যে ডুব দিতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫