শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
‘এটে মিসছায়ানা (একটু) দাঁড়ে থাকলে বোঝার পাইমেন এত তাড়াতাড়ি তেল শ্যাষ হইল কেমন করি। একজনে তেলের বোতল নিয়া যাওছে তিনটা-চাইরটা করি। আর হামরা লাইনোত দাঁড়েও তেল পাইনো না। সউগ বেলে শ্যাষ। খালি হাতে বাড়ি যাওছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে কথাগুলো বলছিলেন বুড়িরহাট গ্রামের বিউটি বেগম। তিনি দুপুর ১২টার দিকে সেখানে টিসিবির ট্রাক থেকে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল ও চিনি কিনতে এসেছিলেন।
কলেজ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছিলেন ডিলার মোজাফফর হোসেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তেল শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতেই গাড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন লোকজন। তখন শুধু চিনি ও ডাল বিক্রি চলছিল। সেগুলোও ৪টার দিকে শেষ হয়ে যায়। অনেকে অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরে যান।
বুড়িরহাটের বিউটির সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিতে এসেছিলেন একই গ্রামের গৃহবধূ হাসনা বানু। তিনি জানান, সারা দিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়িয়েও তেল পাননি। গাড়ির কাছে যেতেই জানলেন তেল শেষ। কম দামে এই পণ্য নিতে এসে গাড়ি ভাড়ার ২০ টাকাই জলে গেল। সঙ্গে দিনটাও মাটি হলো বলে আফসোস প্রকাশ করেন তিনি।
টিসিবির ডিলার সূত্রে জানা গেছে, প্রতি লিটার তেল ১১০, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ ও মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দরের চেয়ে যা যথাক্রমে ৬০, ২৫ ও ৫৫ টাকা কম। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই কেজি চিনি প্যাকেজ হিসেবে বিক্রি করা হয়।
মাঠে কথা হয় জদ্দিপাড়া গ্রামের মমেজা বেগমের সঙ্গে। পাঁচ সদস্যের সংসার তাঁর। অন্যের খেতে সরিষা তোলার কাজে গিয়েছিলেন সকালে। টিসিবির গাড়ি আসার খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় তেল, চিনি ও ডাল কিনতে আসেন। বিকেল সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও তিনি কিছু পাননি।
আক্ষেপ করে মমেজা বলেন, ‘আইজ কপালোত মাইর আছে। তেল, চিনি কিছুই পানু না। কামের টাকাও দিবার নেয়। বাড়িত স্বামীক কী জবাব দেইম। সরকার কত কোনা তেল, চিনি দেয়? লাইনের মানুষে পায় না।’
ট্রাক আসার আগেই কুর্শা কাজীপাড়া গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম তেল, চিনি ও ডাল নিতে আসেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘সকালে আসছি, ঘরের কাম থুইয়া। দিন গেল, তেল পাইলাম না।’
পণ্য না পাওয়া অন্তত ২০ জন অভিযোগ করেন, ডিলার পরিচিত লোকজনকে আগে তেল, চিনি ও ডাল দিয়েছেন। প্যাকেজ ভেঙে অনেককে শুধু তেলও দিয়েছেন। একেকজনে তিন থেকে চারটি তেলের বোতল নিয়ে গেছেন। তাই দ্রুত তেল শেষ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডিলার মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘তেল ৬০০ লিটার, ডাল ৫০০ কেজি ও চিনি ৫০০ কেজি বরাদ্দ পেয়েছি। ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সব শ্রেণি-পেশার লোকজন টিসিবির পণ্য নিতে ভিড় করছেন, যা আগে হতো না। দেড় শতাধিক মানুষ ফিরে গেছেন। আমার কাছে যা ছিল তা শেষ। কোথা থেকে তাঁদের তেল-চিনি এনে দেব? সারা দিন বিতরণ করলেও শেষ হবে না।’
একজনে একাধিকবার তেল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার বলেন, ‘এখানে শত শত লোক, কাকে চিনে রাখব। হয়তো এমন লোক আছেন, যাঁরা একবার নিয়ে সেগুলো রেখে এসে ফের নেন।’
‘এটে মিসছায়ানা (একটু) দাঁড়ে থাকলে বোঝার পাইমেন এত তাড়াতাড়ি তেল শ্যাষ হইল কেমন করি। একজনে তেলের বোতল নিয়া যাওছে তিনটা-চাইরটা করি। আর হামরা লাইনোত দাঁড়েও তেল পাইনো না। সউগ বেলে শ্যাষ। খালি হাতে বাড়ি যাওছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে কথাগুলো বলছিলেন বুড়িরহাট গ্রামের বিউটি বেগম। তিনি দুপুর ১২টার দিকে সেখানে টিসিবির ট্রাক থেকে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল ও চিনি কিনতে এসেছিলেন।
কলেজ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছিলেন ডিলার মোজাফফর হোসেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তেল শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতেই গাড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন লোকজন। তখন শুধু চিনি ও ডাল বিক্রি চলছিল। সেগুলোও ৪টার দিকে শেষ হয়ে যায়। অনেকে অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরে যান।
বুড়িরহাটের বিউটির সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিতে এসেছিলেন একই গ্রামের গৃহবধূ হাসনা বানু। তিনি জানান, সারা দিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়িয়েও তেল পাননি। গাড়ির কাছে যেতেই জানলেন তেল শেষ। কম দামে এই পণ্য নিতে এসে গাড়ি ভাড়ার ২০ টাকাই জলে গেল। সঙ্গে দিনটাও মাটি হলো বলে আফসোস প্রকাশ করেন তিনি।
টিসিবির ডিলার সূত্রে জানা গেছে, প্রতি লিটার তেল ১১০, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ ও মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দরের চেয়ে যা যথাক্রমে ৬০, ২৫ ও ৫৫ টাকা কম। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই কেজি চিনি প্যাকেজ হিসেবে বিক্রি করা হয়।
মাঠে কথা হয় জদ্দিপাড়া গ্রামের মমেজা বেগমের সঙ্গে। পাঁচ সদস্যের সংসার তাঁর। অন্যের খেতে সরিষা তোলার কাজে গিয়েছিলেন সকালে। টিসিবির গাড়ি আসার খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় তেল, চিনি ও ডাল কিনতে আসেন। বিকেল সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও তিনি কিছু পাননি।
আক্ষেপ করে মমেজা বলেন, ‘আইজ কপালোত মাইর আছে। তেল, চিনি কিছুই পানু না। কামের টাকাও দিবার নেয়। বাড়িত স্বামীক কী জবাব দেইম। সরকার কত কোনা তেল, চিনি দেয়? লাইনের মানুষে পায় না।’
ট্রাক আসার আগেই কুর্শা কাজীপাড়া গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম তেল, চিনি ও ডাল নিতে আসেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘সকালে আসছি, ঘরের কাম থুইয়া। দিন গেল, তেল পাইলাম না।’
পণ্য না পাওয়া অন্তত ২০ জন অভিযোগ করেন, ডিলার পরিচিত লোকজনকে আগে তেল, চিনি ও ডাল দিয়েছেন। প্যাকেজ ভেঙে অনেককে শুধু তেলও দিয়েছেন। একেকজনে তিন থেকে চারটি তেলের বোতল নিয়ে গেছেন। তাই দ্রুত তেল শেষ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডিলার মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘তেল ৬০০ লিটার, ডাল ৫০০ কেজি ও চিনি ৫০০ কেজি বরাদ্দ পেয়েছি। ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সব শ্রেণি-পেশার লোকজন টিসিবির পণ্য নিতে ভিড় করছেন, যা আগে হতো না। দেড় শতাধিক মানুষ ফিরে গেছেন। আমার কাছে যা ছিল তা শেষ। কোথা থেকে তাঁদের তেল-চিনি এনে দেব? সারা দিন বিতরণ করলেও শেষ হবে না।’
একজনে একাধিকবার তেল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার বলেন, ‘এখানে শত শত লোক, কাকে চিনে রাখব। হয়তো এমন লোক আছেন, যাঁরা একবার নিয়ে সেগুলো রেখে এসে ফের নেন।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫