নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে নাজিরপুর বাজারের প্রধান সড়কে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী ও নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আইয়ুব আলীর পক্ষে এ বিক্ষোভ করেন তাঁর কর্মী ও সমর্থকেরা।

ওই কর্মসূচিতে নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী বলেন, দল-সংগঠন চালাতে গিয়ে তিনি নানাভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাঁর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর পরিবর্তনে শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি বিতর্কিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা (মরহুম আব্দুল আজিজ) বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় যুদ্ধাপরাধী মামলার ৮ নম্বর আসামি ছিলেন।

সংবাদকর্মীদের সরবরাহ করা যুদ্ধাপরাধী মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে আব্দুল আজিজসহ আরও ১০ ব্যক্তির নামে গুরুদাসপুর থানায় ওই মামলাটি করেন।

নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, এলাকায় বিতর্কিত একজন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অবিলম্বে ওই প্রার্থী পরিবর্তন করে পরিচ্ছন্ন কোনো ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বঞ্চিত প্রার্থী আইয়ুব আলীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে দাবি করেন তাঁর বাবা আব্দুল আজিজ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তা ছাড়া তিনি নিজেও বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।

নৌকার প্রার্থী শরিফুল ইসলাম আরও দাবি করে বলেন, স্থানীয়ভাবে বিভক্ত রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তাঁর বাবা। তিনিও হয়রানি মামলার শিকার হয়েছেন। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার কারণে তাঁর পরিবার ঘিরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রার্থী শরিফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বলেন, ‘আমরা নাজিরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আইয়ুব আলীর নাম পাঠিয়ে ছিলাম। আর যিনি নৌকার প্রতীক পেয়েছে তিনি একজন রাজাকারের সন্তান। রাজাকার পরিবারের কাছে নৌকা নিরাপদ নয়।’