সম্পাদকীয়
বই ছাড়া জীবন চলতে পারে, সেটা ভাবতেই পারতেন না অভিনয়শিল্পী গোলাম মুস্তাফা। রাতে শোয়ার আগেও একবার কোনো বইয়ে চোখ বুলিয়ে না নিলে ঘুম আসত না। নিজের ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। থাকতেন মধুবাগে ভাড়াবাড়িতে। বনানীতে একটা জায়গা ছিল, কিন্তু ঋণ নিয়ে বাড়ি করার কথা ভাবতেই পারতেন না। স্ত্রী হোসনে আরা কখনো যদি ঋণের কথা মনে করিয়ে দিতেন, তাহলে ‘হ্যাঁ, যোগাযোগ করছি’ বলতেন এমনভাবে, যেন এখনই মুশকিল আসান করে ফিরবেন। বাড়িটা এই উঠল বলে। আসলে সেদিক মাড়াতেনও না।
মুস্তাফা জানতেন, অভিনয়টাই তাঁর জীবন, রুটি-রুজির একমাত্র ভরসা। সেই যে চিত্র পরিচালক এহতেশাম তাঁকে নিলেন ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায়, তার পর থেকে অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ভাবেননি। হ্যাঁ, আবৃত্তি করেছেন। সেটাও তো ওই পারফরম্যান্সই।
যখন অভিনয় করে নাম করেছেন, তখন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনেক ছবিতে অভিনয় করার অফার পেতেন, কিন্তু তিনি তো অভিনয় করেন নিজের শিল্পভাবনাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। আদর্শই সম্বল।
কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। চারদিকেই স্থূলতার যে জয়গান শুরু হলো, তাতে বেঁচে থাকতে হলে আপস করা ছাড়া উপায় নেই। মারদাঙ্গা রুচিহীন ছবিতেও অভিনয় করতে হয়েছে। খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্র বিষয়ে।
সে সময়ই বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা সুন্দর নাটক রেকর্ডিং করে এসে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন। ভালো প্লট, ভালো সংলাপ, মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু নাটক দেখতে বসে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। ‘পাকিস্তানি বাহিনী’ শব্দ দুটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে সংলাপ থেকে! মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কথা যে-ই এসেছে, অমনি কেটে দেওয়া হয়েছে সংলাপ।
এটা মেনে নেননি তিনি। কদিনের মধ্যেই পত্রিকায় তিনি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন। তিনি জানতেন, এই প্রতিবাদলিপি প্রকাশের পর টেলিভিশন তাঁকে আর নাটকে ডাকবে না।
কিন্তু পাকিস্তানি দালালির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে পারেননি গোলাম মুস্তাফা।
সূত্র: মালেকা বেগম, শুভ্র সমুজ্জ্বল, পৃষ্ঠা ১০৩-১০৪
বই ছাড়া জীবন চলতে পারে, সেটা ভাবতেই পারতেন না অভিনয়শিল্পী গোলাম মুস্তাফা। রাতে শোয়ার আগেও একবার কোনো বইয়ে চোখ বুলিয়ে না নিলে ঘুম আসত না। নিজের ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। থাকতেন মধুবাগে ভাড়াবাড়িতে। বনানীতে একটা জায়গা ছিল, কিন্তু ঋণ নিয়ে বাড়ি করার কথা ভাবতেই পারতেন না। স্ত্রী হোসনে আরা কখনো যদি ঋণের কথা মনে করিয়ে দিতেন, তাহলে ‘হ্যাঁ, যোগাযোগ করছি’ বলতেন এমনভাবে, যেন এখনই মুশকিল আসান করে ফিরবেন। বাড়িটা এই উঠল বলে। আসলে সেদিক মাড়াতেনও না।
মুস্তাফা জানতেন, অভিনয়টাই তাঁর জীবন, রুটি-রুজির একমাত্র ভরসা। সেই যে চিত্র পরিচালক এহতেশাম তাঁকে নিলেন ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায়, তার পর থেকে অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ভাবেননি। হ্যাঁ, আবৃত্তি করেছেন। সেটাও তো ওই পারফরম্যান্সই।
যখন অভিনয় করে নাম করেছেন, তখন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনেক ছবিতে অভিনয় করার অফার পেতেন, কিন্তু তিনি তো অভিনয় করেন নিজের শিল্পভাবনাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। আদর্শই সম্বল।
কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। চারদিকেই স্থূলতার যে জয়গান শুরু হলো, তাতে বেঁচে থাকতে হলে আপস করা ছাড়া উপায় নেই। মারদাঙ্গা রুচিহীন ছবিতেও অভিনয় করতে হয়েছে। খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্র বিষয়ে।
সে সময়ই বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা সুন্দর নাটক রেকর্ডিং করে এসে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন। ভালো প্লট, ভালো সংলাপ, মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু নাটক দেখতে বসে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। ‘পাকিস্তানি বাহিনী’ শব্দ দুটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে সংলাপ থেকে! মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কথা যে-ই এসেছে, অমনি কেটে দেওয়া হয়েছে সংলাপ।
এটা মেনে নেননি তিনি। কদিনের মধ্যেই পত্রিকায় তিনি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন। তিনি জানতেন, এই প্রতিবাদলিপি প্রকাশের পর টেলিভিশন তাঁকে আর নাটকে ডাকবে না।
কিন্তু পাকিস্তানি দালালির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে পারেননি গোলাম মুস্তাফা।
সূত্র: মালেকা বেগম, শুভ্র সমুজ্জ্বল, পৃষ্ঠা ১০৩-১০৪
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫