Ajker Patrika

নদী দখল করে ভবন নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৬
নদী দখল করে ভবন নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রসুলপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আবদুল কাদির ৪ শতক জায়গা দখল করে এই ভবন নির্মাণ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নদী ইতিহাস আর ঐতিহ্যে বিখ্যাত হলেও ভূমিদস্যুদের থাবা থেকে কোন রকমেই মুক্তি মিলছে না। দিনদিন ভূমিদস্যুদের থাবায় নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদী পাড় দখলের কারণে তিতাস নদী আজ সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

শহরের তিতাস পাড়ের গোকর্ণঘাটের ঠিক অপর পাশেই নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামটি। তিতাস নদীর কূল ঘেঁষে জনমানুষের বসবাস দীর্ঘকালের বলেই নদীতে তাদের সখ্য রয়েছে।

তবে অনেকেই আবার নদীর পাড় দখল করে কৃষি জমি হিসেবে চাষ করে জীবন জীবিকা নির্বাহও করছে। অনেকে আবার নিজ দখলে থাকা নদীর পাড়টি কৃষি জমি দেখিয়ে স্থায়ী ব্যবহারের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বন্দোবস্তের আবেদন করেই স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করছে।

সরেজমিন দেখা যায়, রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে সৌদি প্রবাসী আবদুল কাদির তিতাস নদীর ১৪ শতক জায়গা দখল করেন। জায়গাটি স্থায়ীভাবে পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আবেদন করেন। আবেদনের বিষয়ে সুরাহা না হওয়ার আগেই নদীর প্রায় ৪ শতক জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করেন তিনি।

ঘর নির্মাণের বিষয়ে প্রবাসী আবদুল কাদিরের স্ত্রী রিমা বেগম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে থাকেন। আমার স্বামী গত দুই বছর আগে এখানে বিল্ডিং করছে। এ পর্যন্ত কেউ এসে বাঁধা দেয় নাই।’ ।

এ বিষয়ে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জায়গাটি ১ নম্বর খতিয়ান অন্তর্ভুক্ত। যদি তা-ই হয় তবে এখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরির কোন সুযোগ নেই।

নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নায়েব সালেহ আহমেদ জানান, গত এক বছর আগে এখানে বদলী হয়ে এসেছেন তিনি। নদী দখণ করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য আবদুল কাদির গত দুই বছর পূর্বে দরখাস্ত করেছে যা এখনো দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি।’

নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, নদীর জায়গা বন্দোবস্ত করে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। সেখানে স্থায়ী ইমারততো না-ই। যদি নদী দখল করে ইমারত নির্মাণ করে তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত