সম্পাদকীয়
যখন প্রশংসিত হচ্ছেন চারদিকে, তখন একদিন হুট করে লেখালেখি ছেড়ে দিলেন মাহমুদুল হক। মারা গেছেন ২০০৮ সালে, অথচ লেখালেখির পাট চুকিয়েছেন ১৯৮০ সালে। লেখালেখি ছেড়ে দেওয়ার পর আর আক্ষেপও করেননি। এমনকি না লিখতে লিখতে বানানও ভুল করা শুরু করলেন। চিঠিপত্র লেখাতেও এল অনীহা। অথচ ‘জীবন আমার বোন’, ‘কালো বরফ’সহ বইগুলো এখনো সুখপ্রদ বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে পাঠকের মনে।
কেন লেখা ছেড়ে দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমার আর লিখতে ভালো লাগেনি।’
তাঁকে নিয়ে পাঠকের কৌতূহল অনেক। কিন্তু খুব যে মুখ খুলতেন, এমনো তো নয়। সমসাময়িক লেখকদের, বিশেষ করে কথাশিল্পীদের লেখা পড়তেন খুব কম। প্রায় পড়তেনই না। তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বইয়ে পড়েছিলেন, মানিক কারও বই পড়েন না। অন্যের লেখা পড়লে সে লেখার একটা ছাপ নিজের লেখায়ও চলে আসতে পারে। তাই মাহমুদুল হক নিজে কথাসাহিত্যের মানুষ বলে কবিতা পড়তেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটা গল্প লিখেছিলেন, সে গল্পটা জগদীশ গুপ্ত লিখেছিলেন আরও আগে। মানিক সে গল্প দিয়েই প্রভাবিত হয়েছিলেন। মানিকের লেখা নকল করে লেখককুল কূল পায় না, সেই মানিকও কিনা প্রভাবিত হয়েছিলেন জগদীশ গুপ্তের দ্বারা!
মাহমুদুল হকদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল জুয়েলারির। দামি পাথর বিক্রি করতেন তাঁরা। তিনি যে লেখালেখি করেছেন, তা দোকানে দাঁড়িয়েই করেছেন। ৭-৮-১০ দিনে লিখে ফেলেছেন এক একটা বই। শুধু ‘জীবন আমার বোন’ ছাড়া। তিন মাস ধরে এ বইটি লিখেছেন বাড়িতে বসে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে পড়তে গিয়ে তাঁর লেখা জটিল বলে মনে হয়েছে। হাসান আজিজুল হকের লেখা পড়ে মনে হয়েছে, একেবারে হিউমার নেই।
তাহলে কি অন্য কারও লেখার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে লেখা ছেড়েছেন? না, সেটাও নয়। মাহমুদুল হক মনে করেন, তাঁর স্টক কম এবং নতুন কিছু বলার নাম থাকলে পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেটা এড়ানোর জন্যই লেখালেখি ছেড়ে দেওয়া!
সূত্র: নাসির আলী মামুন, তর্ক বাংলা, পৃষ্ঠা ১৪৩-১৪৫
যখন প্রশংসিত হচ্ছেন চারদিকে, তখন একদিন হুট করে লেখালেখি ছেড়ে দিলেন মাহমুদুল হক। মারা গেছেন ২০০৮ সালে, অথচ লেখালেখির পাট চুকিয়েছেন ১৯৮০ সালে। লেখালেখি ছেড়ে দেওয়ার পর আর আক্ষেপও করেননি। এমনকি না লিখতে লিখতে বানানও ভুল করা শুরু করলেন। চিঠিপত্র লেখাতেও এল অনীহা। অথচ ‘জীবন আমার বোন’, ‘কালো বরফ’সহ বইগুলো এখনো সুখপ্রদ বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে পাঠকের মনে।
কেন লেখা ছেড়ে দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমার আর লিখতে ভালো লাগেনি।’
তাঁকে নিয়ে পাঠকের কৌতূহল অনেক। কিন্তু খুব যে মুখ খুলতেন, এমনো তো নয়। সমসাময়িক লেখকদের, বিশেষ করে কথাশিল্পীদের লেখা পড়তেন খুব কম। প্রায় পড়তেনই না। তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বইয়ে পড়েছিলেন, মানিক কারও বই পড়েন না। অন্যের লেখা পড়লে সে লেখার একটা ছাপ নিজের লেখায়ও চলে আসতে পারে। তাই মাহমুদুল হক নিজে কথাসাহিত্যের মানুষ বলে কবিতা পড়তেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটা গল্প লিখেছিলেন, সে গল্পটা জগদীশ গুপ্ত লিখেছিলেন আরও আগে। মানিক সে গল্প দিয়েই প্রভাবিত হয়েছিলেন। মানিকের লেখা নকল করে লেখককুল কূল পায় না, সেই মানিকও কিনা প্রভাবিত হয়েছিলেন জগদীশ গুপ্তের দ্বারা!
মাহমুদুল হকদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল জুয়েলারির। দামি পাথর বিক্রি করতেন তাঁরা। তিনি যে লেখালেখি করেছেন, তা দোকানে দাঁড়িয়েই করেছেন। ৭-৮-১০ দিনে লিখে ফেলেছেন এক একটা বই। শুধু ‘জীবন আমার বোন’ ছাড়া। তিন মাস ধরে এ বইটি লিখেছেন বাড়িতে বসে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে পড়তে গিয়ে তাঁর লেখা জটিল বলে মনে হয়েছে। হাসান আজিজুল হকের লেখা পড়ে মনে হয়েছে, একেবারে হিউমার নেই।
তাহলে কি অন্য কারও লেখার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে লেখা ছেড়েছেন? না, সেটাও নয়। মাহমুদুল হক মনে করেন, তাঁর স্টক কম এবং নতুন কিছু বলার নাম থাকলে পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেটা এড়ানোর জন্যই লেখালেখি ছেড়ে দেওয়া!
সূত্র: নাসির আলী মামুন, তর্ক বাংলা, পৃষ্ঠা ১৪৩-১৪৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫