Ajker Patrika

রোগীর চাপ বেড়েছে ৫ গুণ

ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৭
রোগীর চাপ বেড়েছে ৫ গুণ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে কয়েক দিন ধরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বয়স্করা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, আমরা রোগীদের সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগের চেয়ে রোগী চার-পাঁচগুণবেড়েছে। বেশিরভাগই শীতজনিত কারণে আক্রান্ত।

শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড়। পাশাপাশি জরুরি বিভাগেও রোগীদের লম্বা লাইন। উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করা হয়েছে শিশু কর্নার। রোগীদের সেবা নিতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ডাক্তারের রুমের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। অনেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে চার-পাঁচগুণ। শীতের কারণে সকাল ৮টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

উপজেলার মামদামারী এলাকা থেকে মায়ের কোলে উঠে চিকিৎসা নিতে এসেছে আট বছরের শিশু নাদিয়া। এ সময় কথা হয় তার মা রূপসী বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই-তিন ধরে আমার মেয়ের খুব ঠান্ডা ও কাশি, তাই হাসপাতালে আসলাম। যে ভিড় দেখছি, কত যে সময় লাগবে আল্লাহ জানে।

পাশেই আরেকজন বৃদ্ধ রমজান আলী। তিনি বলেন, ‘কয়দিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমোবার পাই না। নাক দিয়েও পানি পড়ে। এ কারণে ডাক্তারের কাছে এসেছি, দেখি তাঁরা কী বলে। তারপর ওষুধ খামু।’

কুরুয়া থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন লাভলী বেগম। তিনি বলেন, ‘পানিতে হাত দিলেই ঠান্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এসেছি।’

ভেলুয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মো. লাল মিয়া বলেন, ‘ঠান্ডার জন্য ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ খাইছি। কিন্তু ঠান্ডা ভালো হয় নাই। তাই হাসপাতালে আসলাম।

শহরের সাতানি শ্রীবরদী মহল্লার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বাপু কি কমু, কয়দিন ধরে যে ঠান্ডা, কথায়তো মুখ দিয়ে আয়না। কাশি ও ঠান্ডার কারণ ডাক্তার দেখাবার আসছি।’

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহনেওয়াজ নোমান বলেন, ‘গত চার পাঁচ দিন ধরে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগী আসছে হাসপাতালে। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগী ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের। আমরা তাদেরকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতর শিশু কর্নার স্থাপন রয়েছে। এই কর্নারের মাধ্যমে ছোট ছোট শিশুদের সুন্দরভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শীতের কারণে নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমার রোগী বেড়ে গেছে। শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোগী আসলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ জনের মতো। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনতার ফলেই এসব রোগ বেড়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

যুবককে ধর্ষণের প্রত্যয়নপত্র দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত