Ajker Patrika

প্রাচীন ইউরোপের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ৪১
প্রাচীন   ইউরোপের   গল্প

বুনো ষাঁড় রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ছুটে আসছে কেদার দিকে। শিং দিয়ে তার কাপড় ভেদ করে তাকে পাহাড়ের কিনারে নিয়ে যায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে তির ছোড়ে বাবা তাও। বুনো ষাঁড়ের গায়ে লাগে সে তির। তবে কেদাকে উদ্ধার করা যায় না। পাথুরে পাহাড়ের গিরিপথে পড়ে থাকে কেদা। সেটি এমন এক জায়গা, যেখানে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ফলে মরিয়া হয়ে ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যাওয়া বাবা তাওকে সরিয়ে আনা হয়। সেখানেই কেদার শেষকৃত্য করে নিজ গ্রামে ফিরে আসে তাও এবং তার দলের সদস্যরা।

এদিকে, মৃতের মতো পড়ে থাকা কেদা প্রাণে বেঁচে যায়। শুরু হয় তার একা পথ চলার সংগ্রাম। এই দুঃসময়ে তার সঙ্গী হয় আহত এক নেকড়ে। কেদা সেই নেকড়ের নাম দেয় আলফা। যত সময় গড়ায় দুজন দুজনের ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। একবার বরফের নিচে পানিতে পড়ে গেলে আলফাই বাঁচিয়ে দেয় কেদাকে। বহু রকম বিপদ মোকাবিলা করে আলফাকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছায় কেদা। মা-বাবার আদর-যত্নে সে সুস্থও হয়ে ওঠে। আর তার পরিবারের অংশ হয়ে যায় আলফা। সেখানে নেকড়ে কয়েকটি ছানারও জন্ম দেয়।

২০ হাজার বছরের পুরোনো ইউরোপ! ভাবতেই কেমন চমক লাগে, তাই না? কেমন ছিল পাথর যুগের শেষ ভাগের ইউরোপ? মানুষ তখন কী খেত?

কীভাবে শিকার করত? কেমন কাপড় পরত? কীভাবে তারা দেখে পথ চিনত? এসবের উত্তর জানতে ইচ্ছে করে? যদি জানতেই চাও তাহলে দেখে ফেলো ‘আলফা’ নামের সিনেমাটি। জেনে রাখা ভালো, গ্রিক ভাষার প্রথম অক্ষরকেও ‘আলফা’ বলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত