Ajker Patrika

‘মায়ার টানে সড়কে থাকি’

কুমিল্লা প্রতিনিধি
‘মায়ার টানে সড়কে থাকি’

‘প্রথমে নতুন বাড়িতে ছিলাম, পানিতে সেই বাড়ি তলিয়ে যায়। পরে পুরাতন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। বাঁধ ভেঙে সে বাড়িও তলিয়ে যায়। স্বামী নেই, সম্বল বলতে এ বাড়িটাই ছিল।’

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়ার গোমতীর বাঁধভাঙা এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম (৬০) কথাগুলো বলছিলেন। তাঁর মতো অনেকেই নিঃস্ব। গেল বৃহস্পতিবার রাতে বুড়বুড়িয়ার গোমতীর বাঁধ ভেঙে গেলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। বাঁধের ওপর বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তাঁবু বানিয়ে দিনানিপাত করছে হাজারো মানুষ। বৃষ্টি এলেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। গোমতীর বাঁধে অবস্থান নেওয়া জামাল মিয়া বলেন, ‘রাতে হঠাৎ বাঁধ ভাঙার খবর শুনে খামারের গরুগুলো নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। ১০ গজ যেতে না যেতে পেছনে ফিরে দেখি ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্রোত। কিছুই রক্ষা করতে পারলাম না।’ 

জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১২২ ইউনিয়নের ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। 

আবারও ফেরা যাক মনোয়ারা বেগমের কথায়। বললেন, ‘আমি দিন-রাত পড়ে থাকি সড়কের উপর। মায়া লাগে, মায়ার টানে অসুস্থ শরীর নিয়ে সড়কে বসে দিন-রাত কাটাচ্ছি। কেউ একটা তাঁবু টানিয়ে দিলে রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতাম। পানি কবে কমবে তা-ও জানি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত